শীতে স্ট্রবেরি চাষ করে অনেকেই স্বাবলম্বী হচ্ছেন মেদিনীপুরে
ধানের বিকল্প হিসেবে স্ট্রবেরি চাষ করছেন মেদিনীপুরের পিংলার কুসুমদার এক কৃষক। বিঘা দেড়েক জমিতে এই চাষ করছেন রাজকুমার সামন্ত। এর আগে দু’বার স্ট্রবেরি চাষ করে ভাল ফল পেয়েছিলেন। তাই এবছরও শীতে এই চাষে মন দিয়েছেন তিনি। মূলত এটি বাগিচা ফসল।
বাড়ির উঠোনে চালের প্লাস্টিক বস্তায় অর্ধেক গোবর সার, অর্ধেক মাটি দিয়ে বীজ পুঁতে দিতে হয়। ৫–৬ দিন পর এর পাতা বের হয়। এরপর ডাঁটি একটু বড় হলে, তা কেটে মাটিতে পুঁতলে এর থেকে আবার নতুন গাছ বের হয়। এভাবে অর্ধেক বীজ পুঁতলে এর থেকে যে গাছ বের হয়, তা থেকে দ্বিগুন গাছ করা যায়। গাছ বড় হলে তা সার দিয়ে তৈরি করে রাখা মাটিতে লাগিয়ে দেওয়া হয়।
অন্য গাছের মতো সরাসরি মাটিতে না লাগিয়ে, অর্ধেক বস্তায় গোবর সার আর মাটি ভরে লাগালে গাছ দ্রুত বাড়ে। ফলন ভালো হয়ার পাশাপাশি ফল চুরি যাওয়ার ভয় থাকে না। কোনও গাছে সংক্রমণ হলে, তা পৃথক করে রাখা যায়। এক গাছ থেকে আরেক গাছের দূরত্ব কমপক্ষে দু’ফুট রাখতে হবে। পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে এক থেকে দেড়মাস সময় লাগে। এর পর গাছে ফুল আসে। প্রতিটি গাছে ৩৫–৪০টি স্ট্রবেরি ফল ধরে। দিন পনেরোর মধ্যে ফল পেকে পুরো লাল রঙের হয়ে উঠলে পেড়ে নেওয়া হয়। বেশি পাকলে কিছু ফল নীচে পড়ে যায়।
১০০টি গাছ থেকে প্রায় ২০ কেজি স্ট্রবেরি পাওয়া যায়। ৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হয়। পুরো চাষটাই শীতকালের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে। শীত যতবেশি পড়বে ও যতদিন স্থায়ী হবে ততই ফলন ভাল হবে। গাছ একবার ফল দেওয়ার পর সেই গাছের বীজ পুনরায় কাজে লাগে।