মিষ্টি-গুড়ের ইতিকথা – বাঙালির শীতের খাদ্যাভ্যাস
শীতকাল, বাঙালি, খাওয়া-দাওয়া সবই একে অপরের সমার্থক। শীতকাল মানেই প্রচুর খাওয়া-দাওয়া। বাঙালির রকমারি খাবারের অভাব নেই। পিঠে-পুলি, গুড়ের মিষ্টি, মোয়া – খাওয়ার জন্য শুধু বাহানা দরকার।
শীতের সবচেয়ে লোভনীয় খাবারগুলির মধ্যে রয়েছে:
নলেন গুড়:
আহা! “এ স্বাদের ভাগ হবে না”
শীতের খাবার বলতে প্রথম যে খাবারটির কথা মাথায় আসে তা হল নলেন গুড়। পিঠে-পুলির সাথেই হোক বা এমনি এমনি – কিছুতেই তার মহিমায় ভাটা পড়ে না। মিষ্টি তৈরিতেও তার যাদু কম নয়।
পিঠে:
শীতকালের সাথে পিঠে সমার্থক। পৌষ পার্বণ মানেই বাঙালির ঘরে ঘরে পিঠে ‘উৎসব’। পৌষ সংক্রান্তির পিঠে ভাজার রেওয়াজ বাঙালির সমৃদ্ধ সংস্কৃতিকে দর্শায়। সড়া, পাটিসাপ্টা, ক্ষীরপুলি, দুধপুলি সহ অন্যান্য পিঠে – প্রত্যেকেই নিজের নিজের স্বাদে অনন্য।
দেখে নেওয়া যাক কয়েকটি রকমারি পিঠের কথা:
সরা/ চিতই পিঠে
পৌষ সংক্রান্তিতে প্রাচীন নিয়মানুসারে এই পিঠেই প্রথম বানানো হয়। সেভাবে নিজস্ব কোন স্বাদ না থাকলেও নলেন গুড়ের সাথে এই পিঠের এক অসাধারণ যুগলবন্দী রয়েছে।
পাটিসাপ্টা
পিঠের মধ্যে পাটিসাপ্টার জনপ্রিয়তাই সব চেয়ে বেশি। প্রতি কামড়েই ক্ষীর এবং নারকেল কুচির অসাধারন স্বাদ পাওয়া যায়। আট থেকে আশি – সকলেই খেতে ভালোবাসেন।
পুলি পিঠে
পিঠের কথা হচ্ছে আর পুলি পিঠের নাম নেওয়া হবে না, তা কি চলে! এই পিঠেরও প্রতি কামড়েই ক্ষীরের স্বর্গীয় অনুভূতি।
দুধ পিঠে
নলেন গুড় মেশানো ঘন দুধে চিতই পিঠে ভেজানো। অনন্য এক স্বাদের অধিকারী দুধ পিঠে।
নকশি পিঠে
এই পিঠের মূল আকর্ষণ তার আকৃতি। সুন্দর নক্সা করে বানানো হয় এই পিঠে। তারপর তা চোবানো হয় রসে।
গোকুল পিঠে
পাটিসাপ্টার চেয়ে এই পিঠের জনপ্রিয়তা কোন অংশেই কম নয়। রসে ডোবানো ক্ষীরের এই পিঠের স্বাদ অতুলনীয়।
জয়নগরের মোয়া:
শীতকালের অন্যতম আকর্ষণ জয়নগরের মোয়া। ক্ষীর, খই এবং নলেন গুড়ের সে এক স্বর্গীয় মিশেল। কলকাতা থেকে কয়েকটা স্টেশন পেরোলেই চলে আসবে জয়নগর। সেখানকার এই মোয়া এখন কলকাতা সহ রাজ্য তথা সারা বিশ্বে জনপ্রিয়।