ট্রামে লেখা চিড়িয়াখানার ইতিহাস
নতুন প্রজন্মের কাছে আলিপুর চিড়িয়াখানার ইতিহাসকে তুলে ধরার জন্য নতুন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। চিড়িয়াখানা স্থাপন থেকে হালফিলের বিবরণ এর ইতিহাস লেখা থাকবে ট্রামের বগির ভেতরে। নতুন বছরেই রাজ্যবাসীকে এই উপহার দেওয়ার প্রয়োজনীয় কাজ চলছে।
চিড়িয়াখানার ভেতরে ট্রামের বগিটি যেখানে রাখা হবে সেখানে ইতিমধ্যেই লাইন বসানো হয়ে গেছে। ট্রামের ভেতর চিড়িয়াখানার ইতিহাসের পাশাপাশি থাকবে বিভিন্ন জন্তু জানোয়ারের ছবি। দর্শকরা যাতে স্মারক সংগ্রহ করতে পারে তার জন্যও ব্যবস্থা থাকবে। যেমন টুপি বা অন্যান্য জিনিসের ওপর জানোয়ারের ছবি বা চিড়িয়াখানার ছবি থাকবে। এগুলি টাকার বিনিময়ে দর্শকরা সংগ্রহ করতে পারবেন।
চিড়িয়াখানা স্থাপনে যারা উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছিলেন সেই সব আধিকারিকদের ছবিও এখানে রাখার বিষয় বিবেচনা করা হচ্ছে।
১৮৭৬ সালে আলিপুর চিড়িয়াখানার উদ্বোধন হয়। পশু পাখিদের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য এর অত্যন্ত সুনাম আছে। দেশি ও বিদেশি পাখি ছাড়াও এই মুহূর্তে এখানে আছে নানা তৃণভোজী ও মাংসাশী জন্তু। বাঘ, সিংহ ছাড়াও দর্শকদের মনোরঞ্জনের জন্য এখানে রয়েছে অ্যানাকোন্ডা ও হিংস্র শিকারি কুকুর ঢোল।