দেশ বিভাগে ফিরে যান

দুনিয়ার চল্লিশ শতাংশ হার্ট ফেলিয়োর রোগী ভারতেই

January 5, 2020 | 2 min read

ছবি সৌজন্যেঃ medicalnewstoday

সারা পৃথিবার অর্ধেকের কাছাকাছি হার্ট ফেলিয়োর রোগী এ দেশের। ক্যান্সারের চেয়ে ঢের বেশি সংখ্যায় ফি বছর প্রাণহানি হয় এ রোগে। অথচ এ অসুখ নিয়ে সচেতনতা তলানিতে। ফলে চিকিৎসাই হয় না সিংহভাগ রোগীর।

এমনই আক্ষেপ শোনা গেল এক অঙ্গ রাজ্যের জনস্বাস্থ্য মন্ত্রীর। বেসরকারি উদ্যোগে হার্ট ফেলিয়োর সংক্রান্ত সচেতনতা কর্মসূচির উদ্বোধন করতে গিয়ে সম্প্রতি এই ভাষাতেই হতাশা ব্যক্ত করেন তিনি। এই সচেতনতা কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবে মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে হার্ট ফেলিয়োর নিয়ে বেশ কয়েকটি আলোচনাসভা আয়োজিত হয়।

প্রায় সব ক’টি আলোচনাচক্র থেকেই চিকিৎসক, শিক্ষাবিদ ও আমলাদের মধ্য থেকে যে সাধারণ মতামত উঠে আসে তা হল, হার্ট ফেলিয়োর বাস্তবে ভারতে প্রায় মহামারীর আকার নিয়ে ফেলেছে বলেই এই অসুখের চিকিৎসায় সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে নির্দিষ্ট ক্লিনিক থাকা জরুরি যেখানে হার্ট ফেলিয়োরের রোগীদের সম্পর্কে তথ্যভাণ্ডার গড়ার কাজও চলবে সমান্তরাল ভাবে।

এই অসুখকে বাগে আনাটা আমাদের সকলের কাছেই চ্যালেঞ্জ। কেননা, উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবিটিসের মতো জীবনশৈলির সঙ্গে সম্পর্কিত অসুখে ভোগার ব্যাপারে ভারতীয়দের ঝুঁকি বেশি। এবং এগুলি সবই হার্ট ফেলিয়োরের আশঙ্কা বাড়ায়। ২০১৭-র একটি সমীক্ষা উদ্ধৃত করে তিনি জানান, ৫০% হার্ট ফেলিয়োরের রোগী এ দেশে ওষুধ পর্যন্ত খায় না।

এ দেশে সমস্যাটা অনেক মারাত্মক। কারণ, একজন মার্কিনের চেয়ে একজন ভারতীয় গড়ে বছর দশেক কম বয়সেই সাধারণ হার্ট ফেলিয়োরের শিকার হন। ফলে অবসরের বয়সের আগেই তাঁর হৃদযন্ত্র আর পর্যাপ্ত রক্ত পাম্প করে উঠতে পারে না।’ সুরেশ মনে করিয়ে দেন আর পাঁচটা অসুখের সঙ্গে এ রোগের ফারাকের বিষয়টিও।

বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ক্রনিক অসুখ শুরু হয় একটা অ্যাকিউট অ্যাটাক দিয়ে। কিন্তু হার্ট ফেলিয়োর রোগটা ক্রনিক হয়েই থাকে। বাড়াবাড়ি পর্যায়ে গিয়ে আচমকা যখন অ্যাটাকটা হয় তখন অনেক সময়ে হাসপাতালে ভর্তির পরও প্রাণরক্ষা হয় না। সেই কারণেই বয়স ৫০ পেরোলে সচেতনতায় ভর করে নিয়মিত স্ক্রিনিংয়ের মাধ্যমে দ্রুত রোগ নির্ণয় করা উচিত। সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবায় হৃদরোগ বিশেষজ্ঞের অপ্রতুলতাও একটি গম্ভীর বিষয়।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Medicine, #Medical, #Heart Disease

আরো দেখুন