‘অদৃশ্য’ ক্যামেরা ওয়ানপ্লাসে
মোবাইল ফোটোগ্রাফি এবং মোবাইল ক্যামেরাপ্রীতির জেরে এক থেকে বাড়তে বাড়তে মোবাইলে ক্যামেরার সংখ্যা সাতে পৌঁছে গিয়েছে। তার মধ্যেও কত বাহার, রোটেটর-পপ আপ, আন্ডার ডিসপ্লে ক্যামেরা। যে তালিকায় সর্বশেষ সংযোজন, ইনভিসিবল (অদৃশ্য) ক্যামেরা, যা থাকলেও সহজে তাকে দেখা যাবে না।
ওয়ান প্লাসের নবতম কনসেপ্ট ওয়ান মডেলের স্মার্টফোন আগামী সপ্তাহে লাস ভেগাসে শুরু হতে যাওয়া কনজিউমার ইলেকট্রনিক্স শো-তে আত্মপ্রকাশ করার পর, তার ট্রিপল রিয়ার ক্যামেরা চমকে বাকিদের বেশ কয়েক যোজন পিছনে ফেলে দিতে বাধ্য। কারণ, মোবাইলটি হাতে নিলেও তার পিছনের পিছনের রং পাল্টানো গোরিলা গ্লাস এবং বিশেষ আচ্ছাদনে ঢাকা ক্যামেরা অ্যাপারচার এমনিতে দেখা যাবে না।
এই বিষয়ে যে টিজারটি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করেছে মোবাইল সংস্থাটি, তাতে ‘আছে কিন্তু নেই’ এমন ক্যামেরার কথা স্বীকার করে নিলেও, কোন প্রযুক্তিতে তা দৃশ্যমান হবে, তা ভেঙে জানায়নি সংস্থা। ‘অল্টারনেট ফিউচার উইথ অল্টারনেট ডিজাইন’ ট্যাগলাইনে আনা ফোনের বাকি বিশেষত্ব বা দাম, এ সব নিয়ে আর কোনও তথ্য আত্মপ্রকাশের সময়েই জানানো হবে বলে দাবি কর্তৃপক্ষের।
এ ভাবে ক্যামেরা ইনভিসিবল ক্যামেরা প্রযুক্তি নিয়ে প্রথম কাজ করার কথা চলতি বছরের গোড়ার দিকে জানিয়েছিল স্যামসাং। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছিল, আগামী ২০২১ সালের মধ্যে সেলফি ক্যামেরায় আন্ডার-ডিসপ্লে ক্যামেরা (ইউডিসি) প্রযুক্তি নিয়ে আসতে চলেছে তারা। যার ফলে মোবাইলের স্ক্রিনে আলাদা করে ক্যামেরার জন্য জায়গা রাখার বদলে স্ক্রিনের অংশ বাড়িয়ে দিয়ে তার মধ্যেই বসিয়ে দেওয়া হচ্ছে ক্যামেরাটি। কিন্তু ওয়ান-প্লাস যে ইনভিসিবল ক্যামেরা প্রযুক্তির রিয়ার ক্যামেরা নিয়ে আসছে, তা এক কথায় বাকিদের চমকে দিতে বাধ্য।
সংস্থার তরফে এই ক্যামেরার প্রযুক্তি সম্পর্কে মুখ খোলা না হলেও, ইলেকট্রোমেকানিক্যালি কী ভাবে এই ক্যামেরা দৃশ্যমান ও অদৃশ্য হবে, তার একটি হদিশ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের দাবি, মোবাইলের পিছনে থাকা ক্যামেরাগুলির উপর ইলেকট্রোক্রোমিক কাঁচের একটি আচ্ছাদন থাকবে, যাকে বিশেষ কোনও উপায়ে ইলেকট্রিক সিগন্যাল পাঠিয়ে স্বচ্ছ এবং অস্বচ্ছ করার প্রযুক্তি কাজে লাগিয়েছেন সংস্থার প্রযুক্তিবিদরা।
কিন্তু সঠিক কোন হার্ডওয়্যার অংশ বা অ্যাপের সাহায্যে পিছনে থাকা ক্যামেরা দৃশ্যমান হবে, তা ভেঙে জানায়নি সংস্থা। সংবাদসংস্থার দাবি, বিশ্বখ্যাত গাড়ি সংস্থা ম্যাকলারেন-এর সঙ্গে চূক্তি করেছেন ওয়ান প্লাস কর্তৃপক্ষ, যার ফলে তাদের বানানো ইলেকট্রোক্রোমিক কাঁচ ব্যবহার করে এই দৃষ্টিবিভ্রম তৈরি করা হচ্ছে।