টিপু – হিন্দুবিদ্বেষী না জাতীয়বাদী? বিতর্ক চলছেই
ইতিহাসকে মুছে দিতে চায় আরএসএস, বিজেপি। যে “ইতিহাস’ বোঝানো হচ্ছে, তা ভুল, উল্টো। এবং হিংস্র! কর্ণাটকের বিজেপি প্রচারে বলে এসেছে, টিপু সুলতানের জন্মজয়ন্তী পালন করা হবে না। ক্ষমতায় এসে, ঘুরপথে ক্ষমতায় এসে, এবার টিপু-স্মরণ বন্ধ করল রাজ্য সরকার।
দলের এক বিধায়কের দাবি, সব ইতিহাস বই থেকে টিপু সুলতানের নাম মুছে দিতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী ইয়েদুরাপ্পা বলেন, ভাল প্রস্তাব, নিশ্চয় করা যেতে পারে। ভারতের ইতিহাস থেকে সুভাষচন্দ্রের নাম মুছে দেওয়ার মতোই ব্যাপার। কর্ণাটকে কি ক্ষোভ নেই টিপু-বর্জনের সরকারি উদ্যোগে? আছে।
কিছু রাজনৈতিক দলের শক্তিহীনতায় সমস্যা। কংগ্রেস ও জেডিএস নীতিগতভাবে টিপু-বর্জনের তীব্র বিরোধী। দুটো দল কয়েক মাস আগেও জোট সরকারে ছিল। দুই দল থেকেই বিধায়ক কিনে (ইয়েদুরাপ্লার ভিডিও-টেপে স্পষ্ট হল, চক্রান্তে সরাসরি জড়িয়ে ছিলেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ) সরকার করেছে বিজেপি।
সরকার ভেঙে যাওয়ার জন্য কংগ্রেস ও জেডিএস সমানভাবে দায়ী। লোকসভা ভোটে বিরোধীদের বিপর্যয়ের পর ভেঙেই গেল জোট। নেতারা ব্যস্ত ঝগড়ায়, টিপু নিয়ে ভাবার চেষ্টা কোথায়? টিপুর বিরুদ্ধে রাগ কেন বিজেপি-র? ওদের অভিযোগ, তিনি বহু মন্দির ধুংস করেছিলেন। এঁতিহাসিকরা প্রমাণ করেছেন, ভিত্তিহীন। হ্যাঁ, তাঁর আমলে কয়েকটা মন্দির ধূংস হয়েছিল। কিন্তু, মদত দেননি শাসক, বরং, বহু মন্দির সংস্কার করেছিলেন।
তাঁর সময়ে গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন অনেক হিন্দু। রাজস্ব নিয়ে ভেবেছিলেন সময়ের চেয়ে এগিয়ে। শিক্ষায় জোর দিয়েছিলেন। প্রায় সব স্বীকৃত ইতিহাসবিদ বলছেন, তিনি ছিলেন উদার ও আধুনিক শাসক। আর, ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে তাঁর লড়াই অবিস্মরণীয়।
শ্রীরঙ্গপত্তনম দুর্গ থেকে তিনি ঘুম কেড়ে নিয়েছিলেন বিদেশি শাসকের। আপ্রাণ লড়াই। জাতীয়তাবাদী । সেই মানুষটিকে যারা বর্জন করে, তারা “ভারতীয়?