ভ্রমণ বিভাগে ফিরে যান

প্রকৃতির কোলে নিজেকে হারাতে চলুন ডামডিম

January 9, 2020 | 2 min read

ছবি সৌজন্যেঃ mysticdooars

শহুরে ব্যাস্ততা কোলাহলের থেকে অনেকটা দূরে ডামডিমের ঘরোয়া পরিবেশের মাঝে খানিকটা সময় কাটাতে মন্দ লাগবে না। এখানকার শান্ত পরিবেশ, শীতল হাওয়া, মিষ্টি সকাল, তারাময় ঝকঝকে আকাশ, পাখির ডাক যেন এক রূপকথা।

এখানকার চা বাগানে ঘেরা বড় সাহেবের বাংলো ব্রিটিস ঔপনিবেশিকতার সমস্ত ছাপ অক্ষত রেখে আপনাকে স্বাগত জানাবে। পুরনো স্থাপত্য হারিয়ে যাওয়ার এই যুগে এই বাংলোটি ব্রিটিশ সংস্কৃতিকে একনো সম্পূর্ণ অপরিবর্তিতভাবে অক্ষত রেখেছে।

এই বাংলোয় সকালে গরম পাত্রে পরিবেশিত চা থেকে, পুরোন যুগের কাঠের কফি টেবিল বা চা উৎপাদন সবকিছুতেই পেয়ে যাবেন তৎকালীন ব্রিটিশ সংস্কৃতির ছোঁয়া। এই বাংলোয় কিছুটা সময় কাটানোর অনুভূতি হতে পারে এক নিখুঁত কবিতার মতো। কুয়াশার ওপর পড়া সূর্যের প্রথম কিরণ, তার সাথে পাখির ডাক, বিস্তীর্ণ চা বাগান, ট্রি হাউস – এই সবকিছুই আপনাকে ভুলিয়ে দেবে রোজকার জীবনের সব ক্লান্তি।

শিলিগুড়ি থেকে একঘন্টার পথ পেরিয়ে মালমাজার সাব-ডিভিশনের অন্তর্গত ডামডিমে পৌঁছনো যায়। সকালে ঘুমন্ত চা বাগান পেরিয়ে বাঁশের গেটের মধ্যে দিয়ে ঢুকতে হয় ডামডিমে। গেটটি পার করলেই দেখা যাবে চা শ্রমিকদের শিশুরা হাসিমুখে হাত নেড়ে আপনাকে স্বাগত জানাচ্ছে। 

তারপর বাজে কাজ শুরুর সাইরেন। এই সাইরেনেই মনে পড়ে যায় ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির দার্জিলিং এবং ডুয়ার্‌সে এই চা বাগানগুলি তৈরী, এবং শিল্প বিপ্লব এবং ঔপনিবেশিক সংস্কৃতির ইতিহাস। 

এই বাগানের চা এখনো নিলামে ভালো ব্যাবসা করে। ডামডিমের ট্যুর প্যাকেজে এটি একটি উল্লেখযোগ্য স্পট। এখানে নার্সারি গুলিতে চা গাছের চারাগাছের চাষ থেকে কি করে তা পরে বাগানে স্তারান্তরীত হয় এবং মহিলারা কিভাবে ভার্‌মি-কম্পোস্ট তৈরি করে সবটাই দেখা যাবে। আর দেখা যাবে কিভাবে বাঁশের মাচা তৈরি করে ফসলের মরসুমে হাতির পাল থেকে ফসলকে রক্ষা করে গ্রামবাসীরা।

লম্বা লম্বা চা গাছ যা ফুল এবং বীজের জন্যে চাষ করা হয় তা এই জায়গাকে আরো আকর্ষণীয় করে তুলেছে। এই চা গাছগুলি আপনাকে মনে করিয়ে দিতে পারে দীপিকা-শাহরুখের চেন্নাই এক্সপ্রেস। সব মিলিয়ে ডামডিম এককথায় এক স্বর্গীয় অনুভূতি।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Travelling, #Damdim, #NorthBengal

আরো দেখুন