উত্তরবঙ্গ বিভাগে ফিরে যান

বক্সায় ক্যামেরাবন্দী হল ২১৬ প্রজাতির পাখি

January 11, 2020 | < 1 min read

ছবি সৌজন্যেঃ thestatesman

বন দপ্তর ও পাখি বিশেষজ্ঞদের প্রত্যাশা মতোই আরও সমৃদ্ধ হয়েছে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের পাখিদের বৈচিত্র্যের তালিকা। চার দিন ধরে চলা চতুর্থ বর্ষ পাখি উৎসবের শেষে এই খবর শুনিয়েছেন বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের ক্ষেত্র অধিকর্তা। মাত্র আড়াই দিনের মধ্যেই বক্সার পাহাড়-নদী-জঙ্গল চষে রেকর্ড পরিমাণ ২১৬ প্রজাতির বিভিন্ন ধরনের পাখির ছবি ক্যামেরাবন্দী করেছেন পাখি প্রেমিকরা।

এর মধ্যে ছটি প্রজাতি নতুন পাখিকে এ বছর প্রথম বক্সায় দেখা গিয়েছে বলে দাবী বন দপ্তরের। এর মধ্যে রয়েছে ইউরেশিয়ান রাইনেক, আপল্যান্ড বাজার্ড, হিউমস শর্ট টোড লার্ক, ব্ল্যাক থ্রোটেড থ্রাশ, ক্ল্যামেরাস রিড ওয়ার্বলার ও টিকল্স লিফ ওয়ার্বলার। এই ঘটনায় উচ্ছ্বসিত বন দপ্তর। ভবিষ্যতে বছরে দুই বার বক্সায় পাখি উৎসব করার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বনকর্তারা। বক্সার পাখিদের সম্ভারের কথা সারা দেশে প্রচার করে এর পরের বার থেকে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পাখিপ্রেমিক পড়ুয়াদের আকৃষ্ট করার পরিকল্পনা নিয়েছে বন দপ্তর। চতুর্থ বর্ষ পাখি উৎসবে যেখানে ৫০ জন পাখিপ্রেমিক অংশগ্রহণ করেছিলেন, আগামীতে সেই সংখ্যা বাড়িয়ে ১০০ করার পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছে।

উত্তরবঙ্গের বন্যপ্রাণ শাখার মুখ্য বনপাল বলেন, ‘বক্সার এই পাখি উৎসবকে ভবিষ্যতে সর্বজনীন করার পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের।’ বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের ক্ষেত্র অধিকর্তা বলেন, ‘আমাদের অনুমান যে ভুল ছিল না, তা আরও একবার প্রমাণিত হল। অন্যান্য বন্যপ্রাণের সঙ্গে বক্সার জঙ্গলে বাহারি পাখিদের বৈচিত্র্যময় সংসারের খোঁজ এই সংরক্ষিত অরণ্যকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলবে।’

বিশিষ্ট পাখি বিশারদ অনিমেষ বসু বলেন, ‘আমি আশাবাদী, এই পাখি উৎসবের মধ্য দিয়েই বক্সার পাখিদের সংসারে আরও বহু অজানা প্রজাতির সন্ধান মিলবে। এক সময় বক্সার জঙ্গল পাখি দেখার স্বর্গ রাজ্যের রূপ নেবে’।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Buxa, #Bird Photography

আরো দেখুন