বৈদ্যুতিক ইঞ্জিনে পথচলা শুরু দার্জিলিং মেলের
দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে বৈদ্যুতিক ইঞ্জিনেই এবার দার্জিলিং মেল ছুটবে এনজেপি থেকে। শুধু দার্জিলিং মেল নয়, আরও তিনটি ট্রেন চালানো হবে বৈদ্যুতিক ইঞ্জিনে। সেগুলি হল এনজেপি–হাওড়া শতাব্দী এক্সপ্রেস, এনজেপি–হাওড়া সাপ্তাহিক এসি এক্সপ্রেস এবং এনজেপি–মালদা প্যাসেঞ্জার। এই ট্রেনগুলি আপ ও ডাউন দুই দিকের যাত্রাপথেই বৈদ্যুতিক ইঞ্জিনে চলবে। আপাতত তিনটি ট্রেন দিয়ে শুরু হলেও পরে অন্যান্য ট্রেনকেও বৈদ্যুতিক ইঞ্জিনে চালানোর ভাবনা রয়েছে।
ইলেকট্রিক ট্রেন চলাচল শুরু হলেও, সময়ের কোনও পরিবর্তন হচ্ছে না। নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধেই ট্রেনগুলো চলাচল করবে। নতুন টাইম টেবিল হলে যাত্রাপথের সময় অনেকটাই কমে যাবে। সেক্ষেত্রে এনজেপি থেকে শিয়ালদা যেতে ৯ থেকে ১০ ঘণ্টা লাগবে।
শুক্রবার এনজেপি স্টেশন থেকে দার্জিলিং মেলের যাত্রা শুরু হওয়ার পর শনিবার এনজেপি স্টেশন থেকে ছাড়বে শতাব্দী এক্সপ্রেস, এনজেপি–মালদা প্যাসেঞ্জার ট্রেনটি। ১৫ই জানুয়ারি এনজেপি–হাওড়া সাপ্তাহিক এসি এক্সপ্রেসটি চলবে। ইলেকট্রিক ট্রেন চালুর ফলে জ্বালানি তেলের খরচ কমবে। পাশাপাশি দূষণ নিয়ন্ত্রণও হবে।
আপাতত কাটিহার ও শিয়ালদা থেকে চালকদের দিয়ে ইলেকট্রিক ট্রেনগুলি চালানো হবে। ধীরে ধীরে উত্তর–পূর্ব সীমান্ত রেলের চালক ও গার্ডদের বৈদ্যুতিক ইঞ্জিন চালানোর প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ২০ নভেম্বর গুঞ্জরিয়া–এনজেপি স্টেশন পর্যন্ত পরীক্ষামূলকভাবে ইলেকট্রিক ইঞ্জিনের ট্রায়াল রান সফল হয়। কিছু কাজ বাকি ছিল। সেগুলি সম্পূর্ণ করে এনজেপি থেকে শিয়ালদা বৈদ্যুতিক ট্রেন চালানোর উদ্যোগ।
মালদার সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের মধ্যে বৈদ্যুতিকীকরণের কাজ অনেক আগেই শেষ হয়েছে। মালদা থেকে শিয়ালদা পর্যন্ত বৈদ্যুতিক ট্রেন চলাচল করছিল। এরপর বৈদ্যুতিকীকরণে জোড়া হয় এনজেপি পর্যন্ত। এবার নিউ আলিপুরদুয়ার হয়ে ধাপে ধাপে বৈদ্যুতিকীকরণের সম্প্রসারণ হবে অসমের গুয়াহাটি পর্যন্ত।