স্বাস্থ্য বিভাগে ফিরে যান

ডায়াবেটিস রোগীদের হৃদযন্ত্র বিকল হওয়ার আশঙ্কা বেশী

January 12, 2020 | 2 min read

ছবি সৌজন্যেঃ everydayhealth

ডায়াবিটিস থাকলে হার্ট ফেলিয়োরে প্রাণ সংশয়ের আশঙ্কা বেশী। এই তথ্য জানালেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন কার্ডিয়োথোরাসিক ভাস্কুলার সার্জেন নরেশ ত্রেহান। দীর্ঘ দিন ডায়াবিটিসে ভুগলে স্নায়বিক সমস্যা অনিবার্য। তাই হৃদ্যন্ত্রের সমস্যা হলেও বুকে অস্বস্তি তেমন হয় না। হয় না যন্ত্রণার অনুভূতি। একাধিক সমীক্ষা ও গবেষণায় এই দুই অসুখের অঙ্গাঙ্গী সম্পর্ক প্রমাণিত। পাশাপাশি ডায়াবিটিস যে হার্ট ফেলিয়োরের ঝুঁকি বাড়ায়, তা-ও প্রতিষ্ঠিত।

‘ন্যাশনাল সেন্টার ফর বায়োটেকনোলজি ইনফর্মেশন’-এ (এনসিবিআই) প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্র জানাচ্ছে, ব্লাড সুগার থাকলে হার্ট ফেলিয়োরের রোগী হয়ে পড়ার আশঙ্কা বেশী। রক্তে গ্লুকোজ ও ফ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে সব সময় বেশী থাকা এবং ডায়াবিটিসের জেরে বিপাকজনিত হরেক বিশৃঙ্খলার কারণেই রক্ত সংবহণ তন্ত্রে এই অনিয়ম জাঁকিয়ে বসে।

ডায়াবিটিসের রোগীদের মধ্যে হার্ট ফেলিয়োরের হার বেশী। কারণ হার্ট ফেলিয়োর হৃদযন্ত্রের এমন একটা সমস্যা, যা বিনা চিকিৎসায় লাগাতার বেড়েই চলে এবং একসময় হার্ট আর কাজ করতে পারে না। পরিস্থিতি তখন প্রাণঘাতী হয়ে ওঠে।

হৃদপেশী ধীরে ধীরে এতটাই দুর্বল হয়ে পড়ে যে তা পর্যাপ্ত ক্ষমতার সঙ্গে হার্ট পাম্প করে উঠতে পারে না। ফলে প্রতি পাম্পে যতটা রক্ত ও অক্সিজেন হার্ট থেকে সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ার কথা, ঘাটতি থেকে যায় তাতে। হার্ট থেকে শরীরের দূরবর্তী অংশ বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয় এর জেরে। সে জন্যই পা ফুলে যাওয়া হার্ট ফেলিয়োরের অন্যতম বড় লক্ষণ। একটি গবেষণাপত্রে দেখা যাচ্ছে, ১৯৯০-এর তুলনায় ২০১৬-তে হার্টের অসুখে ভোগা রোগীর সংখ্যা এ দেশে দ্বিগুণ (২.৫৭ কোটি থেকে ৫.৪৫ কোটি) হয়েছে। এবং এর জেরে সত্তরোর্ধ্বদের চেয়ে তরুণ ও প্রৌঢ়দের মধ্যে মৃত্যুহার বেশী।

চিকিৎসকদের উপদেশ এখন ২৫ পেরোলেই একবার সকলের হার্ট চেক-আপ করিয়ে নেওয়া জরুরি। পরিবারে বা নিকট পূর্বপুরুষেরও যদি কারও ডায়াবিটিস থাকে, তা হলে অন্যদের তুলনায় তাঁর হার্ট ফেলিয়োরের ঝুঁকি বেড়ে যায় অনেকটা।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#ডায়াবেটিস, #ডায়াবেটিস রোগী, #হৃদযন্ত্র

আরো দেখুন