সৌজন্যের পরই হুঙ্কার মুখ্যমন্ত্রীর
শনিবার রাজভবনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করে বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন প্রত্যাহারের জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন মমতা। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একান্ত বৈঠক সেরে বেরিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আপনি আমাদের অতিথি। তা সত্ত্বেও আপনাকে আমি বলতে বাধ্য হচ্ছি, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন প্রত্যাহারের বিষয়টি আপনারা গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে দেখুন। আমরা কিন্তু এটা মানব না।’ রাজভবন থেকে বেরিয়ে ধর্মতলায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ধরনা মঞ্চ থেকে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে আরও সুর চড়ান মমতা। মঞ্চ থেকে তিনি বলে দেন, ‘আমরা সিএএ, এনপিআর, এনআরসি কোনও ভাবেই এখানে কার্যকর করব না। আমি প্রধানমন্ত্রীকে সেটা জানিয়ে দিয়েছি।’
রাতে ধর্মতলার আন্দোলনকারী ছাত্ররা রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে পৌঁছে গেলে, মিলেনিয়াম পার্ক থেকে মমতা ফের তৃণমূলের ধরনা মঞ্চে ফিরে আসেন। কেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে গিয়েছিলেন তা নিয়ে বুঝিয়ে বলেন, ‘আমরা মোদীকে ডাকিনি। আমাদের কিছু করার ছিল না। মোদী এখানে রাস্তা দিয়েও হাঁটেননি। আমি বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীকে বলে এসেছি সিএএ মানব না। আমি শুধু একটা অনুষ্ঠানে গিয়েছে সেটা একটা সাংবিধানিক দায়বদ্ধতা।’ কার্যত প্রোটোকল রক্ষা করতে এবং রাজ্যের প্রতিবাদ, ক্ষোভ ও কিছু দাবি তুলে ধরতেই তিনি মোদীর সঙ্গে বৈঠকে গিয়েছেন বলে বার্তা দিয়েছেন মমতা।
নাগরিকদের মধ্যে বিভাজনের রাজনীতির বিরুদ্ধে যে তাঁর আন্দোলন শেষ পর্যন্ত জারি থাকবে, তা বারবারই ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। নাম না-করে এ দিন ধরনা মঞ্চ থেকে বিভাজনের ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীকেই নিশানা করেন তিনি। মোদীর বেলুড় মঠ যাত্রাকেও তিনি কটাক্ষ করতে ছাড়েননি।