রাত্রিবাস সেবকের কাছে
পাহাড়ে উঠতে শুরু করলেই পাশে চলে আসে তিস্তা, তারই মধ্যে প্রথমে পাহাড়ের গা ঘেঁষে চলে যাওয়া রেলপথ। তারপরে ব্রিটিশ রাজের সাক্ষী করোনেশন সেতু। আর তার পাশেই প্রাচীন কালী মন্দির।
কালিম্পং বা সিকিম যাতায়াতের পথে একবারও এই সেবকে থামেননি, এমন পর্যটক খুব কম পাওয়া যাবে। শিলিগুড়ি শহর থেকে ২০ কিলোমিটারের মধ্যেই সেবক। এখান থেকে উত্তর-দক্ষিণে একটু দূরে কালিঝোরা, মংপং এবং বেঙ্গল সাফারি।
সেবক বাজার লাগোয়া এলাকার জাতীয় সড়কের ধারে একটি পর্যটন কেন্দ্র করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। জাতীয় সড়ক থেকে কিছুটা উঁচুতে জঙ্গলে ঘেরা পাহাড়ি এলাকায় কেন্দ্রটি গড়ার চিন্তাভাবনা করা হয়েছে। সেখানে কয়েকটি কটেজ ছাড়াও বড় মাপের রেস্তোরাঁ থাকবে।, থাকবে পর্যটকদের জন্য হেল্প ডেস্কও।
১৯৩৭ সালে ব্রিটেনের ‘রাজা ষষ্ঠ জর্জ এবং রানি এলিজাবেথের’ অভিষেকের স্মারক হিসেবে তিস্তা নদীতে করোনেশন সেতুটি তৈরি হয়। এখানে একাধিক ঝোরা রয়েছে। এমনকী, সেবকে আলাদা বড় পুলিশ ফাঁড়িও আছে।
এলাকায় প্রচুর খাবারের দোকান হলেও থাকার জায়গা বলতে বেশ কয়েক কিলোমিটার দূরে মংপং বন বাংলো। এই এলাকায় থাকার জায়গা হলে তা উত্তরবঙ্গের বাড়তি আকর্ষণ হবে।