অমলকুমার ভট্টাচার্য – ছিয়াশিতেও অক্লান্ত যোদ্ধা
বয়স তাঁর ছিয়াশি বছর। এবং বুড়ো হাড়ে ভেল্কি দেখাচ্ছেন তিনি। ঢাকুরিয়ার শহিদনগরের ব্যাঙ্ক প্লট তল্লাটের অমলকুমার ভট্টাচার্য পাড়ার জলাশয় বাঁচানোর আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। সেই জন্য রীতিমতো সংগঠনও তৈরি করেছেন অমলকুমার। যে সংগঠনের নাম ‘জনস্বাস্থ্য ও জলাশয় সংরক্ষণ-সংস্কার মঞ্চ’।
প্রায় ছ’বিঘা আয়তনের জলাশয় বাঁচাতে লাঠিতে ভর করে রোজ নিয়ম করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে অমলকুমার দু’বেলা ওই জলাশয়ের পাড়ে দাঁড়িয়ে দেখেন, কেউ কোথাও আবর্জনা ফেলছেন কি না। দরকারে নিজেও জঞ্জাল সাফাইয়ে হাত লাগান।
জলাশয় বাঁচানোর আন্দোলন অমলকুমার শুরু করেছিলেন ২০০১ সালে। তৈরি হয় সংরক্ষণ-সংস্কার মঞ্চ। বৃদ্ধের এই আন্দোলনের ফলে সাংসদ-শিল্পী যোগেন চৌধুরীর সাংসদ তহবিল থেকে ওই জলাশয় বাঁচানোর জন্য ৪০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল।
অমলকুমার বেসরকারি সংস্থায় হিসাবরক্ষকের কাজ করতেন। ১৯৮৭ সালে চাকরি থেকে অবসর নেন। তার প্রায় দেড় দশক পর শুরু করেন জলাশয় ও পরিবেশ রক্ষার আন্দোলন। এলাকার বহু বাসিন্দা তাঁকে চেনেন ‘কাল্টুদা’ নামে।
বৃদ্ধ ও প্রত্যয়ী অমলকুমার ভট্টাচার্য বলছেন, ‘আমি হাল ছাড়ছি না। মেয়র অন কল, দিদিকে বলো কর্মসূচিতেও ফোন করে জলাশয় বাঁচানোর আর্জি জানিয়েছিলাম। তার পর সরকারি আধিকারিকেরা সম্প্রতি এসে আবার জলাশয়টির ছবি তুলে নিয়ে গিয়েছেন।’