গঙ্গাসাগরে ই-স্নানের ঝড়, আবেদন জমা পড়েছে ৭ হাজারের বেশি
এক সময় বলা হত, সব তীর্থ বারবার, গঙ্গাসাগর একবার। শুরু হয়েছে মকর সংক্রান্তির স্নান। আর তার জেরে গঙ্গাসাগরের দ্বীপে উপচে পড়েছে লক্ষ্যাধিক মানুষের ভিড়। ইদানীং যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা উন্নত হওয়ায় এখন পুণ্যস্নান করে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই কলকাতায় ফিরে যাওয়া সম্ভব। যোগাযোগ ব্যবস্থার এই উন্নতির জন্য মেলায় বৃদ্ধি পেয়েছে ভিড়।
কিন্তু সেই ভিড়ে সকলে যেতে রাজি নয়। আর তাই তাঁদের জন্য তুঙ্গে বাজার ই-স্নানের। ই-স্নান ওয়েবসাইটে আবেদনের ঝড় বইছে। যেখানে সামান্য খরচে বাড়ি বাড়ি পাঠানো হচ্ছে গঙ্গা জল-সহ পুজোর সামগ্রী। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, গত শুক্রবার মেলা শুরুর দিন থেকে এখনও পর্যন্ত সাত হাজারের বেশি আবেদনপত্র জমা পড়েছে। এর মধ্যে ২২৩৬ জন আবেদনকারীর বাড়ি পৌঁছে গিয়েছে পুজো সামগ্রীর প্যাকেট। বাকিদের কাছেও দ্রুত প্যাকেট পৌঁছে দেওয়ার তোড়জোর চলছে।
এ রাজ্যের বিভিন্ন জেলার পাশাপাশি বিহার, ওডিশা, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র থেকেও ই-স্নানে পুজো সামগ্রী পাঠানোর আবেদন করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে জেলাশাসক পি উলগানাথন বলেন, ‘এই ব্যবস্থাটি এ বছরই পরীক্ষামূলক ভাবে চালু করা হয়েছিল। প্রচুর মানুষের সাড়া মিলেছে। আগামী দিনে আরও বেশি মানুষের কাছে পুজোর প্যাকেট পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।’
ই-স্নান ওয়েবসাইট ছাড়াও বাংলা, ইংরেজি, হিন্দি-সহ ছ’টি ভাষায় চালু হয়েছে ‘গঙ্গাসাগর সহায়তা’ অ্যাপ। এই অ্যাপ অ্যানড্রয়েড মোবাইলে ডাউনলোড করে নিলে মেলা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য জানতে পারছেন পুণ্যার্থীরা।