বক্সা পাহাড়ে দেখা গেল ব্ল্যাক প্যান্থার
বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গলে ফরেস্ট গাইডের ক্যামেরায় ধরা দিল জোড়া ‘মেলানেস্টিক লেপার্ড’ বা ব্ল্যাক প্যান্থার। আদতে ওই বন্যপ্রাণীরা চিতাবাঘই। তবে জিন ঘটিত কারণে ওই চিতাবাঘের গায়ে হলদে ছোপ ফুটে ওঠে না। ওই ভয়াল চেহারার জন্য সাধারণত দিনের বেলা কালো চিতাবাঘের দেখা মেলাও দুষ্কর।
একদল পর্যটককে নিয়ে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জয়ন্তী থেকে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দূরের মহাকাল পাহাড় থেকে ফিরছিলেন ফরেস্ট গাইড লেখু মাহাতো। আচমকা তিনি পাহাড়ের ঢাল বেয়ে এক জোড়া ব্ল্যাক প্যান্থারকে নেমে আসতে দেখেন।
এর আগে বেশ কয়েক বার বন দপ্তরের পাতা ক্যামেরার ট্র্যাপে ব্ল্যাক প্যান্থারের অস্পষ্ট ছবি ধরা পড়লেও একেবারে দিনের আলোয় এদের দেখা মেলার কোনও তথ্য ছিল না বন দপ্তরের নথিতে। সারা শরীর মিশমিশে কালো। জ্বলজ্বল করে ওঠে গাঢ় হলদে-সোনালী চোখ। দেখতে এতটাই ভয়ানক যে, স্বাভাবিক চিতাবাঘদের চেয়েও ‘মেলানেস্টিক লেপার্ড’দের অনেক বেশী হিংস্র মনে হয়।
উত্তরবঙ্গের পাঁচটি সংরক্ষিত জঙ্গল মহানন্দা অভয়ারণ্য, নেওড়াভ্যালি, গোরুমারা ও জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান এবং বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গলে ব্ল্যাক প্যান্থারদের অস্তিত্ব রয়েছে। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের মহাকাল পাহাড় এলাকাটি দুর্গম এবং জনমানব শূন্য। ওই এলাকাতেই বেশ কয়েক বছর ধরে নিয়মিত ভাবে ক্লাউডেড লেপার্ড ও এশিয়াটিক ব্ল্যাক বিয়ারের দেখা মিলছিল।
এ বার সেই তালিকায় নয়া সংযোজন ব্ল্যাক প্যান্থার।