কলকাতা বিভাগে ফিরে যান

ইকো পার্কে জল ‘মাপবে’ যন্ত্র

February 3, 2020 | 2 min read

ইকো পার্কে জল মাপবে যন্ত্র। ছবি সৌজন্যেঃ wikipedia

নিউ টাউনের ইকো পার্কে ১১২ একর জলাশয়ে জলের পরিমাণ কি কমছে, দূষিতই বা হচ্ছে কতখানি — এ সব তথ্য জানতে এ বার ওই বিপুল আয়তনের জলাশয়ে আইওটি ডিভাইস বসাচ্ছে হিডকো। জলাশয়ের পাড় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কি না, জলের মধ্যে বসানো ওই যন্ত্রের স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থায় জানা যাবে সে তথ্যও। হিডকো-র চেয়ারম্যান দেবাশিস সেন বলেন, ‘জীববৈচিত্র পর্ষদের একটি সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, ইকো পার্কের ওই জলাশয়ে প্রচুর জলজ প্রাণী রয়েছে। তারা যাতে সুস্থভাবে থাকতে পারে, সে জন্য জলের মান এবং উচ্চতা সঠিক পর্যায়ে রাখার সুপারিশ করেছিল জীববৈচিত্র পর্ষদ। তাই এই পদক্ষেপ।’

হিডকো সূত্রে খবর, জলাশয়টিতে প্রায় ১৪টি সেন্সর বসানো হবে। জলাশয়ে কোনও বিপত্তি দেখা দিলে স্ক্রিনের মাধ্যমে তা জানা যাবে মূল অফিসে বসে। জল দূষিত হলে তা পরিষ্কারের উদ্যোগও নেওয়া যাবে। আবার, প্রয়োজনে অতিরিক্ত জল বের করার জন্য ইকো পার্কের জলাশয় থেকে মাটির তলা দিয়ে ঘুনি ক্যানাল পর্যন্ত প্রায় আড়াই কিলোমিটার বিস্তৃত পথ তৈরি করা হয়েছে। বর্ষার আগেই এই প্রকল্পের কাজ শেষ হয়ে যাবে বলে হিডকোর দাবি।

বছরদেড়েক আগে রাজ্য জীববৈচিত্র পর্ষদকে সমীক্ষার দায়িত্ব দিয়েছিল হিডকো। মাসচারেক আগে সমীক্ষা শেষে পর্ষদ জানিয়েছে, জলাশয়টিতে বড় কচ্ছপের পাশাপাশি ২৮ রকমের মাছ আছে। দেখা মেলে পরিযায়ী পাখিরও। এই বৈচিত্র রক্ষার জন্য হিডকো কর্তৃপক্ষকে বেশ কিছু সুপারিশ করে পর্ষদ। কারণ তাদের সমীক্ষায় উঠে এসেছিল, জলের পরিমাণ কমে যাওয়া এবং জল দূষণের জন্য মাছ মারা যাচ্ছে।

জীববৈচিত্র পর্ষদের চেয়ারম্যান অশোককান্তি সান্যালের কথায়, ‘বর্তমানে শহরে যে ক’টি জলা আছে, তার মধ্যে অন্যতম ইকো পার্কের জলাশয়টি। সেখানকার জীববৈচিত্র রক্ষার জন্য আমরা জলাশয়ে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের পাশাপাশি বাড়তি জল বের করতে নিকাশি নালা ব্যবহারের কথা বলেছিলাম।’ হিডকো তা বাস্তবায়িত করার ফলে ইকো পার্কের জলাশয়ে মাছ, কচ্ছপ, পরিযায়ী পাখিরা আরও ভালোভাবে থাকবে বলে অশোকের দাবি।

বিদেশের অনেক শহরে জলাশয়ের জীববৈচিত্র রক্ষায় আইওটি ডিভাইস ব্যবহার করা হলেও রবীন্দ্র সরোবর বা সল্টলেকের বনবিতানে এমন ব্যবস্থা এখনও চালু হয়নি বলে জানাচ্ছেন পর্ষদের চেয়ারম্যান। ইকো পার্কের জলাশয়ের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানাচ্ছেন পরিবেশবিদরা। পরিবেশবিজ্ঞানী স্বাতী নন্দী চক্রবর্তী বলছেন, ‘জল দূষিত হলে জলজ প্রাণীরা মারা যায়। গত বছর ইকো পার্কে এমন ঘটনা ঘটেছে।’ নতুন পরিকল্পনায় তেমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে না বলে আশা ওই পরিবেশবিজ্ঞানীর।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#echo park, #machine, #eco system of water, #water pollution

আরো দেখুন