নড়তে হবে না বাড়ি থেকে, বাড়িতেই চলে আসবে মাছ
মাছ খেতে ভালো লাগে, রান্না করার উদ্যমেও নেই অভাব।কিন্ত মাছের বাজারে গেলেই শরীর খারাপ লাগে, বমি পায়। অবিবাহিত জীবনে মার হাটের মাছের ঝোল রোজ মিস করেন। অনলাইনে অনেক রেসিপি হাটের মুঠয় কিন্তু মাছ কাটা বা ধোয়ার ইচ্ছে নেই।
ভেটকি পাতুরি রেঁধে প্রিয়জনকে ইম্প্রেস করতে চান, কিন্তু, জীবনেও মাছের বাজার যাননি। ভেটকি বলে অন্য মাছ নিয়ে চলে আসতে পারেন।
আধুনিক জীবনের এমন নানা সমস্যার কথা ভেবে সমাধান আনল জলঙ্গি। কাটা ধোয়া মাছ চাইলেই আপনার বাড়িতে। শুধু মাছ না মুরগী ও পাঁঠার মাংসও এমন রান্না রেডি হিসেবে পাওয়া যাবে হোম ডেলিভারিতে। বাড়িতে পাঠানো হচ্ছে ‘প্যান রেডি’ মাছ। শুধু মশলা মাখিয়েই করা যাবে রান্না। সেটাতেও অনীহা হলে আছে রেসিপি রেডি প্যাক।
যেমন, ভেটকি মাছের টুকরোর সঙ্গে থাকছে পাতুরির মশলা, কলাপাতা, সবকিছু। শুধু প্যানে হালকা ভেজে স্টিম করে নিলেই পাতে পাওয়া যাবে গরম পাতুরি। জলঙ্গির প্যাকের মধ্যে সবথেকে বেশী বিক্রী হয় বাঙালবাড়ির কচি পাঁঠা, জানালেন জলঙ্গি সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং সিইও দীপঙ্কর হালদার।
কলকাতার পাশাপাশি হাওড়া, আসানসোল, দুর্গাপুর, গুরুগ্রাম, নতুন দিল্লী ও নয়দাতেও যাচ্ছে জলঙ্গির প্যাকেট। ডেলিভারি শুরু হতে চলেছে মুম্বাই ও ব্যাঙ্গালুরুতেও।
জলঙ্গি থেকে মাছ কিনতে লাগছে না কোনও অ্যাপ। ফোন বা ল্যাপটপ থেকে ওয়েবসাইটে গিয়েই বেছে নেওয়া যাবে পছন্দের মাছ। বাজারের মত বরফে মাছ রাখা হয় না এখানে, রাখা হয় বিশেষ ট্যাঙ্কে যেখানে সতেজতা বজায় থাকে। সুন্দরবনের মালঞ্চ থেকে টাটকা মাছ কেনে এই সংস্থা। ব্যবহার করা হয় না কোনও প্রিজারভেটিভ। জলঙ্গির মাছের দাম বাজার ছাড়া নয়। এই সংস্থার সবথেকে বেশী বিক্রী হওয়া মাছ হল রুই, কাতলা, ভেটকি এবং ঈলিশ।