একাধিক মহিলার শ্লীলতাহানি, অভিযুক্ত বাংলার বিজেপি সাংসদের ছেলে
শ্লীলতাহানি এবং যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠল বিজেপি নেতা তথা সাংসদ স্বপন দাশগুপ্তের ছেলে সৌম্য সৃজন দাশগুপ্তের বিরুদ্ধে। একাধিক মহিলা তাঁর বিরুদ্ধে এমন গুরুতর অভিযোগ করেছেন। অভিযোগকারী মহিলাদের মধ্যে আছেন দিল্লির সেন্ট স্টিফেন্স কলেজের প্রাক্তনীরা।
গত ১ ফেব্রুয়ারি সেন্ট স্টিফেন্স কলেজের প্রাক্তনীদের দু’টি গ্রুপ স্টেফানিয়ানস এবং লাল সিতারাতে একটি পোস্ট করেন ‘অনন্যা’ (অভিযোগকারীর পরিচয় গোপন রাখার জন্য নাম পরিবর্তিত) নামে এক মহিলা। দাবি করেন, দিল্লির ওই কলেজে পড়াকালীন সৌম্য তাঁর শ্লীলতাহানি করেছেন। প্রসঙ্গত, ২০০৯ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত দিল্লির সেন্ট স্টিফেন্স কলেজে স্নাতক স্তরে ইতিহাস (অনার্স) নিয়ে পড়াশোনা করেছেন সৌম্য দাশগুপ্ত। বর্তমানে তিনি সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী।
প্রাক্তনীদের গ্রুপে অনন্যা লেখেন, ‘স্বপন দাশগুপ্তের ছেলে সৌম দাশগুপ্ত একজন সিরিয়াল যৌন হেনস্থাকারী। কলেজে আমি প্রথম বর্ষের ছাত্রী থাকাকালীন উনি আমার শ্লীলতাহানি করেন। পরে ইনস্টাগ্রামে এই নিয়ে সরব হওয়ার পরে জানতে পারি, আমার মতো আরও অন্তত চারজন তাঁর হাতে যৌন হেনস্থার শিকার হয়েছেন। উনি এখন হয়তো সমস্ত কিছু অস্বীকার করে করে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবেন। ইতিমধ্যে সৌম্য আমাকে ফেসবুকে ব্লক করে দিয়েছেন। অন্য নির্যাতিতদের সঙ্গেও ঠিক একই কাজ করেছেন। ২০১৭ সালেও উনি এক মহিলার শ্লীলতাহানি করেছেন। যার অর্থ শুধু কলেজে পড়ার সময়ই নয়, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হিসেবে কাজ শুরুর পরেও তিনি একই অপরাধ করে যাচ্ছেন। উনি প্রবল ক্ষমতার অধিকারী। তবুও অভিযুক্তের স্বরূপ সবার সামনে খুলে দিয়ে দোষী সাব্যস্ত করার স্বার্থে কাউকে অন্তত এগিয়ে আসতে হবে।’
লাল সিতারা গ্রুপ থেকে অভিযোগকারী মহিলার পোস্টটি মুহূর্তের মধ্যে মুছে দেওয়া হয়েছে। যদিও এই বিষয়ে গ্রুপের অ্যাডমিনের তরফে কোনও কারণ উল্লেখ করা হয়নি। এ দিকে, অনন্যার অভিযোগকে সমর্থন করেছেন আরও দুই মহিলা। অপর গ্রুপে এ নিয়ে সরব হয়েছন তাঁরা। একজন দাবি করেছেন, ২০১৭ সালে লন্ডনে সোম্য দাশগুপ্ত তাঁকে যৌন হেনস্থা করেছিলেন। অন্যজনের দাবি, সেন্ট স্টিফেন্স কলেজের পড়ুয়া থাকাকালীন সৌম্য তাঁর শ্লীলতাহানি করেছিলেন। এক বন্ধুর বাড়িতে তিনি ঘুমিয়ে থাকার সময় এই ঘটনা ঘটেছিল।