দক্ষিণবঙ্গ বিভাগে ফিরে যান

জঙ্গলমহলের উন্নয়নে মুগ্ধ ‘মুক্ত’ ছত্রধর

February 5, 2020 | 2 min read

লালগড়ের সংগ্রামী ছত্রধর। ছবি সংগৃহীত

রবিবারই লালগড়ের মাটিতে পা রেখেছেন ছত্রধর মাহাতো। জেল থেকে মুক্তি পেয়ে এগারো বছর পর বাড়ি ফিরেছেন তিনি। গতকাল ছত্রধর বলেন, ‘দীর্ঘ ১১ বছর পর একটা জীবন থেকে আর একটা জীবনে আমি পর্দাপণ করছি। খুব ভালো লাগছে।’

জঙ্গলমহলের উন্নয়নে বর্তমান সরকার যে ভাবে কাজ করেছে, তার প্রশংসাও শোনা গিয়েছে ছত্রধরের কথায়। বলেন, ‘জঙ্গলমহল ঘিরে আমি অনেকে স্বপ্ন দেখেছিলাম। আমার আন্দোলনের গোড়া থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন পাশে। সমর্থনও করেছিলেন। জঙ্গলমহলের মানুষের স্বপ্নকে রূপায়িত করায়, বর্তমান সরকারকে আমি ধন্যবাদ জানাই।’

মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে ছত্রধর মাহাতোর প্রতিক্রিয়া, ‘‌আমরা জঙ্গলমহলকে নিয়ে যে স্বপ্ন দেখেছিলাম মনে হচ্ছে স্বপ্ন সফল হয়েছে।’‌

এক সময় নিজের আন্দোলনের জায়গা লালগড়ের এসআই চকে পৌঁছে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ‘‌মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে ধন্যবাদ জানাই। জঙ্গলমহলকে নিয়ে আমরা যে স্বপ্ন দেখেছিলাম লালগড়ে এসে বর্তমান ছবি দেখে মনে হচ্ছে স্বপ্ন সফল হয়েছে। এগারো বছর সংশোধনাগারে ছিলাম। লালগড়ে ফিরে দেখছি অনেক পরিবর্তন হয়েছে। নার্সিং কলেজ হয়েছে। সেতু হয়েছে। আমি যে উদ্দেশ্য নিয়ে আন্দোলন করেছিলাম, তার অনেকখানি বাস্তবায়িত হয়েছে। মানুষের চাহিদা থাকবে। চাহিদা থাকা দরকার। আমি মানুষের পাশে ছিলাম। চাইব মানুষ উন্নয়নে শামিল হোন।’‌

এই লালগড়েই একদিন তাঁর নেতৃত্বের কাছে নাস্তানাবুদ হয়েছিল সিপিএম। একদশক পর সেই আন্দোলনের আঁতুড় ঘরে ফিরছেন তিনি। এমন একটা খুশির মুহূর্তে ছত্রধর মাহাতোকে অভ্যর্থনা জানাতে তৈরি হয়েছিলেন জঙ্গলমহলবাসী। মানুষের মিছিলে হাঁটলেন মাহাতো।

গাড়িতে ফেরার পথে ৬ নম্বর রোডের চৌরঙ্গিতে তঁার গাড়ি আটকে জনতা ফুল ছড়ায়। সামনে বেশ কিছু বাইকের মিছিল চলতে থাকে। লোধাশুলি, বেতকুন্দরিতে বহু মানুষ রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকেন। তার গাড়ি আটকে অভ্যর্থনা জানান। লালগড় ঢোকার আগের সেতু থেকে এসআই চক পর্যন্ত কয়কশো মানুষ তাঁর দেখা পাওয়ার চেষ্টা করেন। তাঁকে অভ্যর্থনা জানান। এসআই চকে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। পথে এত মানুষ দেখে ও নিজের এলাকায় এসে আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন ছত্রধর।

বলেন, ‘‌আমাকে বহু জায়গায় আটকেছে। বাঁধভাঙা স্রোতের মতো মানুষ বেরিয়ে এসেছে। মনে হচ্ছে ২০০৯–এর আবেগে ভাসছি। আজ ১১ বছর পর নিজের মাকে দেখতে পাচ্ছি। জন্মস্থানকে দেখছি। ভাল লাগছে। আগের লালগড় আর এখনকার অনেক তফাত। অনেক পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু মানুষের ভাবাবেগ একই রকম আছে। জঙ্গলমহলের মানুষকে ধন্যবাদ জানাই।’‌ তিনি আরও বলেন, ‘‌মানুষ চাইলে তাঁদের পাশে থাকব।’‌

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Chhatradhar Mahato, #LALGARH, #JHARGRAM

আরো দেখুন