বিবিধ বিভাগে ফিরে যান

মনের মানুষ খুঁজতে চলুন কেতুগ্রামের মেলায়

February 5, 2020 | < 1 min read

মনের মানুষের খোঁজ দেবে কেতুগ্রাম। সংগৃহীত ছবি

“মিলন হবে কত দিনে আমার মনের মানুষেরও সনে”

মেলা মানে মিলন। কারও প্রাণের টান। কারও মনের মিল। কেতুগ্রামের দধিয়া গ্রামের বৈরাগ্যতলায় রঘুনাথ জিউর মন্দির চত্বরে প্রায় শ’তিনেক বছর ধরে মেলানোর লক্ষ্যে বসে এই মেলা।

ফি-মাঘের সপ্তমী তিথি থেকে বসে পক্ষকালব্যাপী মেলাটি। মন্দির নির্মাতা গোপালদাস বাবাজির স্মৃতিতে আয়োজিত হয় অন্ন মহোৎসব। পুণ্যার্থী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ ‘রথ দেখা কলা বেচা’র মতো মেলা দেখা আর আর পেটপুরে মহোৎসবের প্রসাদ খেয়ে বাড়ি।

আর এই মেলার অন্যতম বৈশিষ্ট্য কন্ঠিবদল (বৈষ্ণব-বৈষ্ণবীদের বিয়ে)

মনের মানুষ খুঁজে তাদের গলায় প্রেম-ভালবাসার নিতে এই বৈষ্ণব মেলায় রাজ্য ভিনরাজ্যের বৈরাগীর দল ভিড় জমান পালিটা পঞ্চায়েতের ‘পূর্ণী-মা’ নামে একটি শীর্ণ নদীখাতের গায়ে এই বৈরাগ্যতলার উঠোনে।

কীভাবে সম্পন্ন হয় এই কন্ঠিবদল?

জানা গেল, নদীখাতে স্নান করে রঘুনাথ জিউর প্রস্তর বিগ্রহের সামনে দাঁড়ান বাগদানে বাঁধা পাত্রপাত্রীরা। পরিপাটি শুভ্র বেশবাস। কপালে রসকলি। গভীরভাবে লক্ষ করলে দেখা যায়, মনের মানুষের দিকে অনুভব করছেন হবু বর-কনেরা। মন দেওয়া-নেওয়ার পালা চোকে তুলসীকাঠের মালায় কন্ঠিবদলে।

তারপর হাতে হাত রেখে কৃষ্ণনাম জপে সুরের রসসাগরে ভাসা, ‘হৃদয়ে তোমারে বুঝিতে / জীবনে তোমারে পূজিতে / মাঝে চিরবসতের মানুষ-মানুষী’র সন্ধানের ইতি টানতে বছরের পর বছর ধরে নানা প্রান্তের বৈষ্ণব-বৈষ্ণবীর দল দধিয়া-বৈরাগ্যতলায় এসে আখড়া পাতেন।

এ বছরও সেই আবহমান প্রেমের টানে হাজির বাসন্তী বৈরাগী, মনোহর বৈরাগী, যদুনন্দন বৈরাগী, কুসুম বৈরাগীরা।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#ketugram, #Moner Manush Mela, #West Bengal

আরো দেখুন