মানসিক অবসাদ বুঝতে যন্ত্র? নতুন আবিষ্কার করলেন লন্ডনের গবেষকরা
মানসিক অবসাদে আজকের যুগে ভুগছেন না কেউ এটা খুঁজে বের করা অনেকটা খড়ের গাদায় সূঁচ খোঁজার মতোই। আর এই রোগের শিকার বেশিরভাগই আজকের যুব প্রজন্ম, যাদের বয়স সদ্য ১৮ ছুঁয়েছে বা ১৮–র কিছু বেশি। আর এই মানসিক অবসাদে ভুগতে ভুগতে তারা হয় হতাশাগ্রস্ত হয়ে আত্মঘাতী হচ্ছে অথবা নেশার আবর্তে ডুবে যাচ্ছে। ঘটনা ঘটার পর তা নিয়ে বিশ্লেষণ চলে।
কিন্তু এটা আগেই রোখার কথা ভাবাটাও দরকার। আর সেটাই ভেবেছেন লন্ডনের কিংস কলেজের একদল গবেষক। আমেরিকান অ্যাকাডেমি অফ চাইল্ড অ্যান্ড অ্যাডোলেসেন্স সাইকিয়াট্রির জার্নালে এব্যাপারে একটি সমীক্ষা রিপোর্ট প্রকাশ করেছেন তাঁরা। রিপোর্টে সদ্য যুবাদের মানসিক অবসাদ বুঝতে কয়েকটি জিনিসের উপর জোর দিয়েছেন গবেষকরা। তার মধ্যে পারিবারিক ইতিহাস এবং কিছু প্রকাশের অবদমিত ইচ্ছাকেই আজকের যুগের মানসিক অবসাদের দুই অন্যতম কারণ হিসেবে ধরা হয়েছে।
বিভিন্ন দেশের ২০০০ কিশোরকিশোরীর উপর পরীক্ষানিরীক্ষা করে গবেষক দল একটি যন্ত্র তৈরি করেছে। এই যন্ত্রের সাহায্যে গবেষকরা সহজে বুঝতে পারবেন ১৮ বছরে পৌঁছনোর পর কোন কোন তরুণ, তরুণী মানসিক অবসাদের বেড়াজালে পড়ছেন। রিপোর্টের অন্যতম লেখক ভ্যালেরিয়া মন্ডেলি বললেন, এই যন্ত্রের আবিষ্কার মনোজগতের গবেষণায় এক নতুন দিক খুলে দেবে। মানসিক অবসাদের দীর্ঘসূত্রিতা থাকতে পারে এবং কৈশোরাবস্থার অবসাদ পরে মারাত্মক হতে পারে।