রাজীবের রান্নাঘরে পাওয়া যায় সব
অনেকেই চেনেন যাদবপুরের বিখ্যাত মিষ্টির দোকান হিন্দুস্থান সুইটস। কিন্তু জানেন কি, সেই মিষ্টির দোকানের অন্দরমহল থেকেই জন্ম নিয়েছে খাদ্যরসিক বাঙালির উদরপূর্তির আরও একাধিক ঠিকানা।
ঠিক ধরেছেন, কথা হচ্ছে বাবুর্চি রেস্তোরাঁ নিয়ে। যার পরিচালক রাজীব পাল। রাজীবের জীবনটা অবাক করা। ক্লাস টেন পাশ করে বাবার হাত ধরে গিয়ে বসেছিলেন হিন্দুস্থান সুইটসে। সকালে দোকানে বসতেন, বিকেলে যেতেন কলেজে। এমনি করে কাটে প্রায় ১০–১২ বছর। তারপর সময় পেরোতেই ধীরে ধীরে রেস্তোরাঁ বাণিজ্যে আসা।
রাজীব যখন দোকান শুরু করেন, তখন বিরিয়ানির প্লেট ছিল ২৮ টাকা, আর এগরোল ৬ টাকা। সেই থেকে একে একে বাড়তে থাকে রেস্তোরাঁর বহর। এখন বাবুর্চি, ভূতের রাজা দিল বর, পোস্ত ও বেলাচিও, চারটি ভিন্ন ধারার খাবারের রেস্তোরাঁ চলছে। আছে মোট ১৪টি শাখা। সব মিলিয়ে খাদ্য মানচিত্রে তাঁর বিস্তৃত যাতায়াত।
বাবুর্চি বা রাজীবের হাতে তৈরি রেস্তোরাঁগুলোয় মানুষ যখন যান, নিশ্চিন্তে খাবার খেতে পারেন। পারেন বলেই হয়ত চাইনিজ থেকে বিরিয়ানি, বাঙালি থেকে কন্টিনেন্টাল সবেতেই মানুষ এসে ভিড় করেন। তবে ইদানিং নাকি বাঙালিয়ানায় মন মজেছে কলকাতাবাসীর।