কমছে মানবদেহের স্বাভাবিক তাপমাত্রা
মানবদেহের স্বাভাবিক তাপমাত্রা ৯৮.৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট। আর এই তাপমাত্রা অতিক্রম করা মানেই অসুস্থতার লক্ষণ। কিন্তু চিরায়ত এই ধারণা পাল্টে গেছে। কারণ দেহের তাপমাত্রা নামতে শুরু করেছে। সম্প্রতি স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘স্কুল অফ মেডিসিন’র এক গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে।
মানবদেহের স্বাভাবিক তাপমাত্রা হ্রাস পাওয়ার বিষয়টি বেশ উদ্বেগজনক। কারণ উষ্ণতা হলো জীবনের মানদণ্ড আর শীতলতা মৃত্যুর পরিচায়ক।
ওই গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৬০ বছর বা তার কিছুটা বেশি সময় আগে মানবদেহের স্বাভাবিক তাপমাত্রা যা ছিল, সেই উষ্ণতা ধরে রাখা যায়নি। দেহের স্বাভাবিক তাপমাত্রা হতে ০.০৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ০.২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে গেছে। পুরুষ ও নারী উভয়ের ক্ষেত্রেই এমনটা ঘটেছে বলে গবেষকরা জানান।
গবেষকরা জানান, স্বাভাবিক তাপমাত্রা আর আগের মত নেই, এখন পুরুষদের ক্ষেত্রে ধরতে হবে ৯৭.৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট। একই সঙ্গে নারীদের দেহের তাপমাত্রাও কমেছে। তবে সেই হার পুরুষের চেয়ে একটু কম, ৯৮ ডিগ্রি ফারেনহাইট।
স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিনের অধ্যাপক জুলে পার্সনেট এবং তার দল এই গবেষণাটি পরিচালনা করেন। তারা ১৯০ হাজার মানুষের ওপর পরীক্ষা চালান। মানুষের ওজন, জীবনযাত্রার অভ্যাস এবং উন্নত চিকিৎসার কারণে তাপমাত্রা কমে যেতে পারে বলে তারা ধারণা করেছেন।
গবেষণায় আরো জানা গেছে, মানবদেহের গড় স্বাভাবিক তাপমাত্রা হ্রাস পাওয়ার বিষয়টি হঠাৎই হয়নি। তা ধাপে ধাপে নেমেছে। মানুষের জন্ম-সময়ের নিরিখে একটি দশক থেকে পরবর্তী দশকে, ধারাবাহিক ভাবে। সেই ধারাবাহিকতায় কোনো ব্যতিক্রম ঘটতে দেখেনি গবেষক দলটি।
দেহের তাপমাত্রা সবার জন্য এক রকম নয়। লিঙ্গ, বয়স এবং অন্যান্য কারণে তা পরিবর্তিত হয়। সাধারণ প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিদের দেহের তাপমাত্রা ৯৭ ডিগ্রি থেকে ৯৯ ডিগ্রি ফারেনহাইটের মধ্যে থাকতে পারে। আবার শিশুদের ক্ষেত্রে তা ৯৭.৯ থেকে ১০০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।