বাড়ছে ভারতীয়দের ভুটান ভ্রমণের খরচ – নেপথ্যে রাজনীতি?
ভারতের প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলির মধ্যে পর্যটকদের অন্যতম পছন্দের গন্তব্য ভুটান। পাহাড়ের কোলে অবস্থিত ছোট্ট সুন্দর-সাজানো দেশটিতে ভারতীয় পর্যটকদের ভিড় চোখে পড়ার মতো। বছরের প্রায় সবসময়ই বিশেষ করে শীতকালে ভারতীয়রা পারো-থিম্পুর সৌন্দর্য উপভোগ করতে পাড়ি দেন ড্রাগনভূমিতে। অল্প খরচে বিদেশ ভ্রমণের সাধও মেটে। সবচেয়ে বড় কথা হল, এদেশে পা রাখতে আলাদা করে কোনও প্রবেশ মূল্যও দিতে হত না। কিন্তু এবার আর সেই উপায় রইল না। কারণ এখন থেকে ভুটান ঘুরতে মোটা অঙ্কের অর্থ গুনতে হবে ভারতীয় পর্যটকদের।
সম্প্রতি ভুটান সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, আর বিনামূল্যে ভুটানে প্রবেশ করতে পারবেন না ভারতীয়রা। ভুটান ভ্রমণের জন্য দিন পিছু ১২০০ টাকা করে খরচ করতে হবে তাঁদের। চলতি বছর জুলাই থেকেই চালু হবে এই নিয়ম। নয়া স্কিমের আওতায় রাখা হয়েছে মালদ্বীপ এবং বাংলাদেশকেও। ৬ থেকে ১২ বছরের মধ্যে যাদের বয়স, তাদের প্রবেশ মূল্য ৬০০ টাকা। কিন্তু কেন এই নয়া নিয়ম চালু করা হচ্ছে?
ভুটান সরকার জানাচ্ছে, যতদিন যাচ্ছে সে দেশে পর্যটকদের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। তাই পর্যটন কেন্দ্রগুলি রক্ষণাবেক্ষণের উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। সেই কারণেই সাসটেনেবল ডেভেলপমেন্ট ফি (এসডিএফ) বা উন্নয়নের ধারা বজায় রাখার জন্য এই মূল্য নেওয়া হবে পর্যটকদের কাছ থেকে। তবে অন্যান্য দেশের নাগরিকদের তুলনায় ভারতীয়দের থেকে কম প্রবেশ মূল্য নেওয়া হচ্ছে। অন্যান্য দেশের পর্যটকদের ৬৫ মার্কিন ডলারের পাশাপাশি কভার চার্জ হিসেবে প্রতিদিন আরও ২৫০ মার্কিন ডলার করে গুনতে হয়।
এর আগে সড়কপথে ভুটান ঢোকার ক্ষেত্রে ন্যায্য কাগজপত্র দেখিয়ে একটি এন্ট্রি পারমিট করলেই চলত। পারো আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে নেমেও ভ্রমণ সংক্রান্ত তথ্য এবং এন্ট্রি পারমিট দেখাতে হত। তাহলেই থিম্পু ও পারো ঘুরতে পারতেন ভারতীয়রা। ড্রাগনভূমিতে পা রাখতে আলাদা করে কোনও টাকা খরচ করতে হত না। ভিসারও কোনও প্রয়োজন হত না। ভিসা চালু না হলেও ভারতীয়দের ভুটান ভ্রমণ যে খরচসাক্ষেপ হয়ে দাঁড়াল, তা বলাই বাহুল্য।
ভারত ও ভুটানের কূটনৈতিক সম্পর্কে কি চিড় ধরছে? সেই কারণেই কি এই সিদ্ধান্ত? প্রশ্ন উঠছে রাজনৈতিক মহলে।