ফাউ নিয়ে ঝামেলা এড়াতে এবার সিসিটিভি
কোনও সোনার দোকান নয়, কাপড়ের দোকান বা মলও না। সাধারণ একটি ফুচকার দোকান। তাতেই লাগানো আছে সিসি ক্যামেরা। শুনে গল্প লাগলেও ঘটনা একদম সত্যি।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার ফলতার সহরাহাট বাজারে ভ্যানে টানা দীপঙ্কর বেরার ফুচকার স্টল। আমিষ নিরামিষ হরেক রকমের ফুচকা ফেরি করেন তিনি। এই ভ্যানেই লাগানো সিসি ক্যামেরা। বিকেল থেকে রাত যতক্ষণ বিক্রী চলে, ব্যাটারির জোরে চলে ওই ক্যামেরা। গত দু বছর ধরে এভাবেই দোকান চালাচ্ছেন তিনি। ক্রেতারাও এই অভিনব ব্যবস্থায় এই দোকানকে অন্য চোখে দেখেন।
এই সিসি ক্যামেরা লাগানোর পর থেকে আর কখনও ফাউ ফুচকা নিয়ে ঝামেলা হয়নি ওই স্টলে। আগে ফুচকার হিসেবে প্রায় গরমিল হত। সেটা এরাতেই এই অভিনব উদ্যোগ।
দীপঙ্কর বাবু বলেন, দুবছর আগে তিনি ছিলেন বেকার। সংসারের চিন্তায় ঘুম উড়ে যাওয়ার জোগাড়। তখন তিনি শুরু করেন এই স্টল। ফুচকার হিসেব নিয়ে একদিন তাঁর খদ্দেরদের সঙ্গে তর্ক হয়। এই সমস্যার সমাধান করতেই মাথায় আসে এই ক্যামেরার কথা। এই উদ্যোগের ফলেই এখন আশপাশের দোকানের থেকে তাঁর দোকানে খদ্দেরের সংখ্যা সবসময় বেশী থাকে।
খদ্দেরদের বক্তব্যও একই। এই সিসি ক্যামেরার বিষয়টা তাঁরাও খুব উপভোগ করেন। ফুচকা মুখে পুরতে পুরতে একবার করে সিসি ক্যামেরার দিকে তাকালে নিজেদের সেলিব্রিটি মনে করেন অনেকে এবং এই ক্যামেরার ফলে ফুচকার হিসেব ঠিক থাকায় গড়ে উঠেছে ক্রেতা ও বিক্রেতার এক সুসম্পর্ক। তাছার আজকের যুগের এক চিন্তার কারণ, পরিচ্ছন্নতা। দোকানদার কতটা পরিচ্ছন্ন, সেটারও প্রমাণ বহন করে এই ক্যামেরা।