যক্ষ্মা আছে? পরীক্ষা করিয়ে নিন বাসেই
যক্ষ্মা আছে কি নেই বাতলে দিতে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরছে আধুনিক বাস। বাসেই আছে এক্স–রে করানোর অত্যাধুনিক যন্ত্র। রয়েছে কফ–সহ নানা পরীক্ষার আধুনিক ব্যবস্থাও। অভিজ্ঞ চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী–সহ জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকরা মিলিতভাবে এই ভ্রাম্যমাণ যক্ষ্মা শনাক্তকরণ কর্মসূচীতে কাজ করছেন।
আগে কতজন যক্ষ্মা রোগী ছিলেন, বর্তমানে সেই সংখ্যা কত বা আর কতজন আছেন তা খুঁজে বের করতেই এই অভিনব উদ্যোগ। যার পোশাকি নাম ন্যাশনাল টিউবারকুলোসিস প্রিভেনশন সার্ভে। সহযোগিতায় আছে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর।
১৩ জানুয়ারি আরামবাগে প্রথম ক্যাম্প হয়ে এই অভিযান শুরু হয়। হুগলীর চুঁচুড়া পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার বাসিন্দাদের জন্য ক্যাম্প করা হয় প্রিয়নগর ময়দানে। কর্মসূচীর সূচনা করেন স্থানীয় বিধায়ক অসিত মজুমদার। প্রায় ৮০০ জনের যক্ষ্মা পরীক্ষার পাশাপাশি চলে সুগার, প্রেশার ইত্যাদির পরীক্ষা। ডিজিটাল এক্স–রে করে সঙ্গে সঙ্গে তা পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে বেঙ্গালুরুতে। সঙ্গে সঙ্গেই রিপোর্ট। কিছুক্ষণের মধ্যেই জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে সেই ব্যক্তি যক্ষ্মায় আক্রান্ত কিনা।
হুগলী জেলার যক্ষ্মা আধিকারিক ডাঃ প্রকাশচন্দ্র বাগ জানান, জেলায় প্রায় সাড়ে ৫ হাজার যক্ষ্মা রোগী আছেন। যক্ষ্মা পুরোপুরি নির্মূল করা সম্ভব হবে না। তবে এই সংখ্যাটা অনেকটাই কমিয়ে আনা সম্ভব। তাতে আগামীতে এই রোগ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকবে না। ২০২৫ সালের মধ্যে সারা দেশে যক্ষ্মা নির্মূল করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এই কর্মসূচীর সমীক্ষা চলছে। ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত টানা চলবে কাজ।