সিএএকে সমর্থনের অভিনব পদ্ধতি
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের সমর্থনে এ বার প্রচার বৌভাতের প্রীতিভোজের মেনুকার্ডে। রায়গঞ্জ শহরের দেবীনগরের পার্থসারথী ভৌমিকের সঙ্গে ওই এলাকারই ঝুমা হালদারের বিয়ে হয়। তপন থানার করদহে পার্থর পৈতৃক বাড়িতে বৌভাতের প্রীতিভোজের মেনুকার্ডেই ছিল নতুন নাগরিকত্ব আইনের সমর্থনের বার্তা।
প্রীতিভোজের খাবারের তালিকার নীচে লেখা ছিল— ‘নাগরিকত্ব আইনকে স্বাগতম। মেনু (কাগজ) আমরা লুকাবো না।’
ওই অনুষ্ঠানে নিমন্ত্রিতদের তালিকায় ছিলেন বিজেপির উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ লাহিড়ি, দলের রায়গঞ্জ শহর কমিটির প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ পুস্তি-সহ বিজেপির দুই জেলার বহু নেতা ও কর্মী। তবে বিজেপি সূত্রে খবর, পার্থ ও ঝুমা অবশ্য বিজেপি বা দলের কোনও সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত নন। তবে তাঁরা বিজেপি সমর্থক।
পার্থের পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁর মামা প্রদীপ সরকার বিজেপির প্রাক্তন জেলা সাধারণ সম্পাদক। পার্থর দাবি, তাঁর পূর্বপুরুষেরা প্রায় সাড়ে চার দশক আগে বাংলাদেশ থেকে শরণার্থী হিসেবে এ দেশে চলে আসেন। পরে তাঁরা এ দেশের নাগরিকত্ব পান।
তাঁর কথায়, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকার বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে অত্যাচারিত হয়ে এ দেশে আসা শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য ওই আইন পাশ করেছে। তাতে দেশের কোনও বৈধ নাগরিকের নাগরিকত্বের অধিকার যাবে না। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ভুল বোঝাচ্ছে। ওই আইন সম্পর্কে ভুল ধারণা কাটাতেই মেনুকার্ডে এমন বার্তা দিতে চেয়েছি।’’
জেলা বিজেপি সভাপতি বিশ্বজিত লাহিড়ীর বক্তব্য, ‘‘নতুন নাগরিকত্ব আইন সম্পর্কে বাসিন্দারা ধীরে ধীরে সচেতন হচ্ছেন। বিরোধীদের কথায় বিভ্রান্ত হচ্ছেন না। পার্থ ও ঝুমার বৌভাতের ভোজের মেনুকার্ড তা স্পষ্ট করেছে। ওই ঘটনার সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই।’’ তৃণমূলের জেলা চেয়ারম্যান অমল আচার্যের অবশ্য দাবি, ‘‘ঘরে-বাইরে চাপের মুখে পড়ে বিজেপি এখন সামাজিক অনুষ্ঠানে ওই আইন সম্পর্কে বাসিন্দাদের বোঝানোর ব্যর্থ চেষ্টা শুরু করেছে।’’