বর্ধিত শুল্কে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন খেলনা বিক্রেতারা
বিদেশ থেকে খেলনা আমদানির ক্ষেত্রে শুল্ক আগের ২০ শতাংশ থেকে তিনগুণ বাড়িয়ে ৬০ শতাংশ করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে এমনিতেই অশনি সঙ্কেত দেখছে দেশের খেলনা আমদানি ও বিক্রেতা সংস্থাগুলি। চিনে করোনাভাইরাসের প্রকোপ তাদের সেই চিন্তা কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। এই জোড়া ফলায় বিদ্ধ হয়ে ব্যবসায় বিপুল ক্ষতি দেখছে দেশের খেলনা প্রস্তুতকারী, আমদানিকারী এবং বিক্রেতা সংস্থাগুলি।
![](https://drishtibhongi.in/wp-content/uploads/2020/02/বর্ধিত-শুল্কে-সিঁদুরে-মেঘ-দেখছেন-খেলনা-বিক্রেতারা-pba-1024x576.jpg)
কলকাতার পাইকারি খেলনা বিক্রেতা এবং আমদানি সংস্থা অসওয়াল ব্রাদার্সের কর্ণধার মহেন্দ্র কুমার জৈনের কথায়, ‘খেলনার উপর আমদানি শুল্ক বাড়ানোর আগে দেশের খেলনা উৎপাদন শিল্পকে একটি নির্দিষ্ট উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার উপযুক্ত পরিকাঠামো বাড়ানোর প্রয়োজন ছিল কেন্দ্রের। আমদানি খরচ বাড়লে আর তার প্রভাব খেলনার দামের উপরেও পড়বে।’ এমনিতেই বাজারে মন্দার পরিস্থিতি, তার মধ্যে আমদানি শুল্ক বৃদ্ধি নিঃসন্দেহে পরিস্থিতি আরও জটিল করবে, তিনি জানান।
মহেন্দ্র আরও বলেন, ‘এই সমস্যা জটিলতর করে তুলবে করোনাভাইরাসের প্রকোপ। ভারতে আমদানি হওয়া খেলনার এবং খেলনার যন্ত্রাংশের একটা বড় অংশ চিন থেকে আসে। বর্তমানে সে দেশ থেকে আমদানি বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মার্চের শেষে নতুন কন্টেনার দেশে ঢুকবে বলে মনে হয় না।’
এরই পাশাপাশি, আমদানি শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে তিনগুণ বাড়িয়ে ৬০ শতাংশ করার প্রতিবাদে শনিবার শহরে এক দিনের প্রতীকি ধর্মঘট পালন করে ওয়েস্ট বেঙ্গল এক্সিম অ্যাসোসিয়েশন। ভারতের খেলনা শিল্পের সঙ্গে প্রায় ৩০ লক্ষ কর্মী প্রত্যক্ষ ভাবে যুক্ত রয়েছেন। এর মধ্যে ৬০ শতাংশই মহিলা।