সমপ্রেম – বদলেছে আইন, মানসিকতা কি পাল্টেছে মানুষের?
৬ই সেপ্টেম্বর ২০১৮। সুপ্রিম কোর্ট ৩৭৭ ধারা বাতিল করে একটি ইতিহাস তৈরি করে। ভারতীয় এলজিবিটি আন্দোলনের ক্ষেত্রে এটি অন্যতম এক মাইলফলক। কিন্তু আইন করে কী সব হয়? আইন করে কি মত্ত হয়ে ড্রাইভিং কমানো যায়? না, প্লাস্টিক ব্যবহার কমানো যায়? সেরকমই সমপ্রেমীদের নিয়ে সাধারণের মানসিকতাও পাল্টানো যায়নি। এখন সবচেয়ে বেশি দরকার মানুষের ভিতরটাকে বদলানো।
এখন দু’জন পুরুষ বা নারী একসঙ্গে থাকতেই পারে, আইনি পথে তাঁকে হয়ত আর আটকে দেওয়া যাবে না, কিন্তু যে সমাজে বা কমিউনিটিতে তাঁদের থাকবে হবে, সেই কমিউনিটি সোজা মনে তাঁদের মনে নেবে তো? আইনের ভয়ে কেউ কিছু হয়ত বলবে না, কিন্তু সোজা মনে নেমেও তো নেবে না। ফলে যে সুখ একটা নারী পুরুষের যৌথ জীবনে পাওয়া সম্ভব, তা তো সমপ্রেমীরা পাবে না, তাহলে?
একমাত্র উপায় মানুষের মধ্যে সেই চেতনা জাগ্রত করে তোলা। আমরা শহরে অনেক অনুকূল পরিবেশ পাই, কিন্তু গ্রাম গঞ্জের মানু্ষ কিন্তু এই বিষয়ে অনুকূল পরিবেশ পান না। তাঁদের নানা বাধার মুখে পড়তে হয়। সেই বাধা শুধু আইন দিয়ে কাটবে না, কাটাতে হলে প্রয়োজন হবে সামাজিক সচেতনতার। সেই সচেতনতা তৈরি করতে হবে, নিরাপত্তা দিতে হবে। তাহলেই আইনের সফল প্রয়োগ করা সম্ভব হবে।
এখন অন্তত আইনের ভয় দেখিয়ে, পুলিসের জুজু দেখিয়ে সমপ্রেমীদের কাঁটা করে রাখা যাবে না। কিন্তু এটাই শেষ না। এরপরেও অনেক রাস্তা চলা বাকি। আন্দোলন এখনই থামিয়ে দিলে চলবে না। সাধারণ মানুষের মধ্যে যতদিন না পর্যন্ত সমপ্রেম নিয়ে ততদিন লড়াই চালিয়ে যেতেই হবে। থেমে গেলে চলবে না।