ভাতারে সুড়ঙ্গের ভেতর কি গুপ্তধনের হাতছানি?
ভাতারের মাহাতা গ্রামে একটি বাড়ির ভিত কাটার সময় আচমকাই মিলল এক সুড়ঙ্গ। এই হদিশ পেতেই ছড়িয়ে পরে উত্তেজনা। খবর পেতেই এলাকা ঘিরে ফেলে প্রশাসন। সুড়ঙ্গের বাইরে মোতায়েন হয়েছে সিভিক ভলেন্টিয়ার। ভাতারের বিডিও বলেন, “পুরাতত্ত্ব বিভাগের প্রতিনিধিদল পাঠানোর আবেদন জানানো হয়েছে স্থানীয় প্রশাসন থেকে। ওটি কি ও কত বছরের পুরনো তা পুরাতত্ত্ব বিভাগ বলতে পারবে।”
আপেল মল্লিক ও ইনসান মল্লিকরা তাঁদের জায়গায় বাড়ির ভিত খোঁড়ার সময় মাটির নীচে সুড়ঙ্গের সন্ধান পান। আশপাশের এলাকা থেকেও মানুষ আসা শুরু হয় এই খবর ছড়িয়ে পড়ার পর। প্রশাসন ও পুলিশ পৌঁছলে মালিককে কাজ বন্ধ করতে বলেন।
এই গ্রাম অত্যন্ত পুরনো। উত্তরে আছে কুনুর নদী। অনেক আগে নদীর পাশে জনবসতি গড়ে উঠেছিল। এই গ্রামের মাটি খুঁড়লে অনেক পোড়া মাটির জিনিসপত্র মেলে। গ্রামে আছে পুরনো জমিদার বাড়ির ধ্বংসাবশেষ।
আপেল মল্লিকরা সম্প্রতি তাঁদের মায়ের নামে সরকারি আবাস যোজনার অনুদান পেয়েছেন। বসত বাড়ির পাশে কাঠা দুই জায়গার ওপর নতুন বাড়ি করছিলেন তাঁরা। সবে পিলার তৈরী করতে কটা খাল কেটেছিলেন, সেখানেই পাওয়া গেল এই সুড়ঙ্গ।
মাহাতা গ্রামে এই ঘটনা অবশ্য নতুন না। বছর দুই আগে এর কাছাকাছি এক জমিতে গুপ্তধনের সন্ধানে খোঁড়াখুঁড়ি চালাচ্ছিল একদল অসাধু। পরে পুলিশ তাঁদের একজনকে গ্রেপ্তার করে। সেই থেকেই জায়গাটি পুলিশের নজরে আছে।