ভিডিয়ো-স্ট্রিমিংয়ের সেরা অভিজ্ঞতা কীভাবে জানুন
দৈনিন্দিন জীবনে স্মার্টফোনের ব্যবহার ক্রমশই বাড়ছে। শুধু যোগাযোগ নয়, বিনোদনেরও পছন্দের মাধ্যমে পরিণত হয়েছে স্মার্টফোন। Netflix, Youtube বা Airtel Xtreme TV ব্যবহারে যেভাবে দর্শক-সংখ্যা বাড়ছে, তাতে এটা বিশ্বাস করা সত্যিই কঠিন যে কিছু সময় আগেই HD ভিডিয়ো দেখা কার্যত অসম্ভব ছিল। শুধু ব্যান্ডউইথ সমস্যা নয়, ইন্টারনেট স্পিডও HD ভিডিয়ো স্ট্রিমিংয়ের জন্য উপযুক্ত ছিল না। তবে খেলা বদলেছে- দুর্দান্ত ইন্টারনেট স্পিডের সাহায্যে ভারতে ভিডিয়ো স্ট্রিমিং উন্নত হয়েছে।
![](https://drishtibhongi.in/wp-content/uploads/2020/02/ভিডিয়ো-স্ট্রিমিংয়ের-সেরা-অভিজ্ঞতা-কীভাবে-জানুন-1024x576.jpg)
Cisco সংস্থার মতে, ২০১৭ সালে এদেশে মোট ইন্টারনেটের ৭০% শুধু ভিডিয়ো দেখাতেই খরচ হয়েছে। এই সংখ্যাই ২০২২ সালে ৮২% -এ বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। রিপোর্টে জানা গেছে, YouTube-এ প্রতিদিন ১ বিলিয়ন ঘণ্টা বা ১০০ কোটি ঘণ্টা ভিডিয়ো দেখা হয়। Snapchat স্টোরিতে এই সংখ্যাই ১০ বিলিয়ন বা ১০০০ ঘণ্টা।
![](https://drishtibhongi.in/wp-content/uploads/2020/02/ভিডিয়ো-স্ট্রিমিংয়ের-সেরা-অভিজ্ঞতা-কীভাবে-জানুন-2-1024x576.jpg)
তবু, ভিডিয়ো স্ট্রিমিং ব্যর্থ হওয়া, বা HD ভিডিয়ো লোডের জন্য অপেক্ষা করা আজও বিরক্তিকর অভিজ্ঞতাই। তবে Airtel গ্রাহকদের জন্য বিষয়টি এক নয়। OpenSignal Insight-এর রিপোর্ট (২০১৯-এর অক্টোবরে পাবলিশ হওয়া) অনুযায়ী ভারতে সবচেয়ে ভালো ভিডিয়ো-অভিজ্ঞতা রয়েছে Airtel গ্রাহকদের। গতবছরের তুলনায় সংস্থার স্কোর ৫৩ পয়েন্ট বেড়েছে। এই রিপোর্টে থ্রি জি ও ফোর জি নেটওয়ার্কে অপারেটর প্রতি ইন্টারনেট তথা ভিডিয়ো-অভিজ্ঞতার তথ্য জানানো হয়। এই সমীক্ষায়, স্টল রেট, ভিডিয়ো লোডিং টাইম এবং কোয়ালিটি পরীক্ষা করা হয়।
দেশের ৪২টি শহরের মধ্যে ২৬টি শহরে ইন্টারনেট-অভিজ্ঞতায় এগিয়ে রয়েছে Airtel। চার মেট্রো শহরেই প্রতিপক্ষের সঙ্গে সমানে টক্কর দিচ্ছে সংস্থা। পাশাপাশি Airtel এই শহরগুলিতে ৩০% ক্ষেত্রে ‘ভালো’ (৫৫-৬০) রেটিং পেয়েছে Airtel। যার অর্থ, টেলিকম সংস্থা নিয়ে ‘সন্তুষ্ট’ গ্রাহকরা।
![](https://drishtibhongi.in/wp-content/uploads/2020/02/ভিডিয়ো-স্ট্রিমিংয়ের-সেরা-অভিজ্ঞতা-কীভাবে-জানুন-3-1024x576.jpg)
ভালো ভিডিয়ো অভিজ্ঞতায় অত্যন্ত জরুরি ডাউনলোড স্পিড। আপনার ইন্টারনেট স্পিড যদি ক্রমশই স্লো হতে থাকে, তবে আপনি অবশ্যই Airtel গ্রাহক নন। ডাউনলোড স্পিডে নিকটবর্তী প্রতিদ্বন্দ্বীকে হারিয়ে সেরার পুরস্কার পেয়েছে Airtel (৯.৬ Mbps)।
ব্রডব্যান্ড স্পিড প্রতি সেকেন্ডে মেগাবাইটের ভিত্তিতে পরীক্ষা করা হয়। এতে ইউজারের মোবাইলে প্রতি সেকেন্ডে কত ডেটা পৌঁছচ্ছে, তা পরীক্ষা করা হয়। উদাহরণ, ইমেইল পাঠাতে খুবই কম ডেটা খরচ হয়ে থাকে, তাই এক্ষেত্রে বিট-রেট গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়। তবে HD ভিডিয়ো দেখতে প্রচুর ডেটার প্রয়োজন হয়ে থাকে। পাশাপাশি প্রয়োজন হয়, ঠিকঠাক ইন্টারনেট কানেকশন। OpenSignal-এর রিপোর্ট অনুযায়ী থ্রি জি ও ফোর জি নেটওয়ার্কে ইউজারদের ইন্টারনেট স্পিডে শীর্ষে (১০ Mbps) রয়েছে Airtel।