পুরসভা ভোটে লড়বেন শোভন? শহরজুড়ে হোর্ডিংয়ে জল্পনা
পুরভোটে বিজেপির মেয়র পদপ্রার্থী করা হোক শোভন চট্টোপাধ্যায়কে। কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সমর্থনে হোর্ডিংয়ে ছয়লাপ দক্ষিণ কলকাতার একাধিক জায়গা। শোভনের ছবি দিয়ে হোর্ডিংয়ে আবেদন, ‘কলকাতাকে স্বমহিমায় ফেরাতে আপনি ফিরুন শোভনদা’। সেই হোর্ডিংয়ে আবার বিজেপির প্রতীক পদ্মফুলও রয়েছে। হোর্ডিংয়ের নিচের দিকে লেখা রয়েছে, প্রচারে কলকাতা নাগরিকবৃন্দ।
এই হোর্ডিং নজরে আসতেই জল্পনা রাজনৈতিক মহলে। তবে কি সক্রিয় রাজনীতিতে ফিরতে নিজেই লোক দিয়ে হোর্ডিং লাগালেন প্রাক্তন মেয়র? নাকি বিজেপির বিক্ষুব্ধরা পুরভোটে তৃণমূলকে টক্কর দিতে শোভনের উপরই আস্থা রাখছেন, সেই নিয়ে বাড়ছে ধোঁয়াশা। গত বছর ১৯ আগস্ট তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর রাজনৈতিক সভা-মিছিলে খুব একটা দেখা যায়নি শোভন চট্টোপাধ্যায়কে। একপ্রকার রাজনীতি থেকে অঘোষিত সন্ন্যাসে রয়েছেন তিনি। এই অবস্থায় শোভনকে মুখ করেই কি পুরভোটে বৈতরণি পার করতে চাইছে বিজেপি, প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলে।
শোভন আদৌ দলের সঙ্গে আছেন না নেই সে বিষয়েও ধোঁয়াশা রেখেছে বঙ্গ বিজেপি। তার মধ্যে এই হোর্ডিংগুলি নতুন করে জল্পনার সৃষ্টি করেছে। শোভনের অনুগামীরা এই হোর্ডিংয়ের মাধ্যমে রাজ্য নেতৃত্বকে বার্তা দিতে পারেন এই সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। এবার এর মাধ্যমে রাজ্য রাজনীতিতে গুরুত্ব পাওয়ার রণনীতিও হতে পারে।
প্রসঙ্গত, ২০১০ সাল থেকে দুদফায় মোট সাড়ে আট বছর কলকাতার মহানাগরিকের দায়িত্ব সামলেছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। কলকাতার নাগরিকদের কাছে খুবই জনপ্রিয় মুখ শোভন। শহরকে নিজের হাতের তালুর মতো চেনেন। কিন্তু পুরভোটে তাঁকে এখনও তেমন গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না বলে বিজেপির একাংশের মত। তাই হয়তো নিজের গুরুত্ব বাড়াতে অনুগামীদের দিয়ে হোর্ডিং লাগাতে পারেন প্রাক্তন মেয়র।