রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও চিকিৎসার গাফিলতিতেই মৃত্যু তাপস পালের? চাঞ্চল্যকর অভিযোগ পরিবারের
তাপস পালের মৃত্যুর পরও তাঁকে ঘিরে বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না। ওনার মৃত্যু নিয়ে ইতিমধ্যেই কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি শুরু হয়েছে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে। অভিযোগ করা হচ্ছে সিবিআইয়ের কারণে উনি প্রবল মানসিক চাপ ছিলেন, যা ওনাকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে। পরিবারের দাবী, সিবিআইয়ের চাপ তো ছিলই, তবে চিকিৎসায় গাফিলতির কারণেই অকাল প্রয়াণ ঘটে অভিনেতার।
১৭ দিনের জন্য তিনি মুম্বাইয়ের বান্দ্রায় হোলি ফ্যামিলি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। সুত্রের খবর, যে সেন্ট্রাল লাইনটি ওনার ঘাড়ের ডানদিকে তৈরী করা হয়েছিল, সেটা ১৪ দিন পর বদলানো হয়েছিল। শেষ দিন, যখন ডায়ালিসিস চলছিল, তাঁর রক্তচাপ পর্যবেক্ষণ করা হয়নি।
আইসিইউ ইনচার্জ রাত ১১.৩০ টায় পরিবারকে ফোন করে বলেন যে, তাপস পাল সাড়া দিচ্ছেন না এবং তাঁর পালসও পাওয়া যাচ্ছেনা। হাসপাতালের তরফে পরিবারের কাছে ব্লাড ট্রান্সফিউশনের অনুমতি চাওয়া হয়।
প্রশ্ন উঠছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কেন এতক্ষণ অনুমতির জন্য অপেক্ষা করলেন। রোগীর হিমোগ্লোবিন কাউন্ট যেখানে সকালে ৯.৮ গ্রাম থেকে সন্ধ্যায় ৩.৯ গ্রামে নেমে গেছিল, তখন আইসিইউ ইনচার্জ প্রধান ডাক্তারদের ফোন করে জানালেন না কেন?
ডাঃ লিপিকা পাড়ুলেকর তাপস পালকে দেখতেও যাননি এবং হাসপাতালের নার্সকে বলেছিলেন ‘অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ নিশ্চয়ই তলপেট থেকে হচ্ছে’। কিন্তু, বাস্তবে রক্তক্ষরণ প্রথম সেন্ট্রাল লাইন থেকে ঘটেছিল এবং চিকিৎসকরা এটি দেখতে পাননি।
পরিবারের সূত্রে আরও অভিযোগ করা হয়েছে যে, রক্ত সঞ্চালনের জন্য রক্ত আইসিইউতে পাঠাতে দেড় ঘন্টা লেগে যায় এবং তাপসবাবু রক্তের অপেক্ষা করতে করতেই কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে চলে যান। অভ্যন্তরীণ রক্তপাত কোথায় ঘটেছে সেটা দেখতেও কোনও ডাক্তার আসেননি।
টিম দৃষ্টিভঙ্গির তরফে হাসপাতালকে যোগাযোগ করা হলে কোনও উত্তর মেলেনি।
এর থেকেই প্রশ্ন উঠছে, তাপস পালের মৃত্যু কি নিছকই অনভিপ্রেত বা চিকিৎসার গাফিলতি? না, এর পেছনে আছে কোনও অদৃশ্য ষড়যন্ত্র?