যীশু- আবির, মিমি-নুসরত: টলিউডে মূলধারার সমপ্রেমী জুটিতে মানাবে কাদের?
মুক্তি পেল শুভ মঙ্গল জাদা সাবধান। সমপ্রেমের গল্প নিয়ে এই প্রথম হিন্দিতে মূলধারার ছবি নির্মিত হল। দর্শকরা কতটা পছন্দ করবেন এই ছবি তা ভবিষ্যৎ বলবে, কিন্তু এই প্রয়াস অবশ্যই সমর্থনযোগ্য। সুপ্রিম কোর্ট আইপিসি ধারা ৩৭৭ বাতিল করেছে। সমপ্রেম আইনি মান্যতা পেয়েছে। কিন্তু সমাজ কতটা মেনে নিয়েছে দুই পুরুষ বা দুই মহিলার সম্পর্ককে?
এই ছবির বিভিন্ন গানে বা প্রোমোটে দুই নায়ক আয়ুষ্মান খুরানা এবং জীতেন্দ্র কুমারের যে রসায়ন দেখা গেছে তা বাহবার দাবি রাখে। দুই বিষমকামী, বিবাহিত পুরুষ যেভাবে পর্দায় একে অপরের প্রেমিকের চরিত্র পালন করেছেন তা ইতিমধ্যেই ডিজিটালে ভাইরাল। টিম দৃষ্টিভঙ্গির মতে, সমপ্রেমী ছবি আরও তৈরি হওয়া উচিত, যাতে মূলধারার আরও অভিনেতা বা অভিনেত্রী কাজ করেন। এর ফলে মানুষের মধ্যে যে সুপ্ত সমপ্রেম-ঘৃণা তা অনেকাংশেই কেটে যাবে।
বাংলা ছবিতে সমপ্রেম নিয়ে অনেক কাজ হয়েছে। ভিন্ন ধারার ছবি ‘আরেকটি প্রেমের গল্প’ কিংবা ‘চিত্রাঙ্গদা’ অথবা জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত ‘নগরকীর্তন’ – কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় বা ঋতুপর্ণ ঘোষের হাত ধরে সমপ্রেম নিয়ে সাবলীল হয়েছে বাংলা চলচ্চিত্র। এছাড়াও মৈনাক ভৌমিক পরিচালিত ‘ফ্যামিলি অ্যালবাম’ ছবিতে আমরা পাওলি ও স্বস্তিকাকে সমপ্রেমী চরিত্রে দেখেছি।
হালের জি৫ অ্যাপে একটি ওয়েব সিরিজেও আমরা গৌরব চক্রবর্তী ও সৌরভ দাসের চুম্বন দৃশ্যে মুগ্ধ হয়েছি। সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ‘দ্বিতীয় পুরুষ’ ছবিতেও পরমব্রত ও অনির্বাণের চুম্বন দৃশ্য সাড়া ফেলে দিয়েছে। অর্জুন দত্তের ছবি ‘অব্যক্ত’ তেও উঠে এসেছে সমপ্রেমী সম্পর্কের টানাপোড়েনের কথা।
টলিউডের যে সকল অভিনেতা/অভিনেত্রীদের আমরা সমপ্রেমী জুটিতে দেখতে চাই তাদের একটি তালিকা তৈরি করেছে টিম দৃষ্টিভঙ্গি:
১. যীশু- আবির
দুজনেই ব্যোমকেশ। অত্যন্ত সফল অভিনেতা। দীর্ঘাঙ্গী ও সুপুরুষ এই দুজনের রসায়ন যে রুপোলি পর্দায় জাদু তৈরি করবে, বলার অপেক্ষা রাখে না।
২. অনির্বাণ-পরম
ডেইটীয় পুরুষে যে ঝলকটা আমরা দেখেছি, সেটা পূর্ণ দৈর্ঘ্যের একটি ছবি হলে মন্দ হয় না।
৩. মিমি-নুসরত
দুজনের বন্ধুত্বের কথা সর্বজনবিদিত। ঘটনাচক্রে দুজনেই সাংসদ। বন্ধুত্বের রসায়নটা কতটা প্রেমে রূপান্তরিত হতে পারে, সেটা দেখতে উদগ্রীব আমরা।
৪. পাওলি-অনিন্দিতা
স্বস্তিকা ও পাওলির রসায়ন আমরা দেখেছি। হালের ‘লাভ আজ কাল পরশু’ ছবিতে দুজনকে একসাথে অভিনয় করতে দেখা গেছে। সমপ্রেমী চরিত্রে যে দুজন বেশ মানানসই হবে, বলাই বাহুল্য।
৫. দেব-জিৎ
মনে পড়ে ‘দুই পৃথিবী’ ছবির কথা? দুজনেই সুপারস্টার, পোক্ত অভিনেতা। ঝুঁকি নেওয়ার সাহস দুজনেরই আছে। মানাবে ভালোই।
৬. ঋত্বিক-অনির্বাণ
বর্তমান বাংলা সিনেমা জগতে বাঘা অভিনেতা বলতে এই দুজনের নাম প্রথমেই নিতে হয়। দুজনেই এমন সব রোল করেছেন যা সাধারণ কোনও অভিনেতা হয়তো করতে চাইতেন না। এই দুজন যখন একে অপরের প্রেমিক হিসেবে স্ক্রিনে আসবেন, কি কাণ্ডটাই না ঘটবে, ভাবুন।
৭. স্বস্তিকা-জয়া
জয়া এহসান এবং স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়কে যে চরিত্রই দেওয়া হোক, সেটা তারা আত্মস্থ করে নেন। এক্ষেত্রেও যে এরা দর্শকদের চমক উপহার দেবেন, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
৮. প্রসেনজিৎ-চিরঞ্জিত
দুজনেই সমসাময়িক। দুজনেই সুপারস্টার। দুজনেই ইন্ডাস্ট্রিকে নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন দুঃসময়ে। ভাবুন তো, এদের নিয়ে একটি পরিণত প্রেমের কাহিনী যদি তৈরি হয় টলিউডে, কতটা এগিয়ে যাবে আমাদের ইন্ডাস্ট্রি?
আপনি কাদের সমপ্রেমী চরিত্রে দেখতে চান? জানান আমাদের।