ব্রেনের জন্য ক্ষতিকর কোন খাবার?
আমরা কী খাচ্ছি আর কেন খাচ্ছি সেটা জানা খুব জরুরি। ব্রেনকে সুস্থ রাখে কোন কোন খাবার, আর কী কী খেলে তা আপনার ব্রেনের জন্য ক্ষতিকর? আসুন জানা যাক।
মাছ আমরা অনেকেই খুব ভালোবাসি। মাছে থাকা লো স্যচুরেটেড ফ্যাট, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন–বি ১২, আয়রণ, জিঙ্ক খুবই প্রয়োজনীয়, ঠিকই। তবে এমন কিছু মাছ আজকাল আমরা বেশ ফ্যাশন করেই পাতে তুলে নিই, যা কিন্তু আমাদের লাভের চেয়ে ক্ষতিই করে বেশী। যেমন, টুনা, ম্যাকরেল, হাঙর দিয়ে তৈরী কোনও পদ, টাইল ফিশে তৈরী কোনও পদ। এগুলো থেকে দূরে থাকুন। এরা অন্য ছোট ছোট মাছ খায়, এতে এদের শরীরে তৈরী হয় বেশ কিছু পারদ। সেটাই আমাদের ব্রেনের জন্য বেশ ক্ষতিকর।
প্রক্রিয়াজাত খাবারে থাকে প্রচুর পরিমাণে প্রিসার্ভেটিভ, নুন, চিনি ইত্যাদি। এ জাতীয় খাবার সবসময়েই আমাদের শরীরের কোনও না কোনও অংশতে বেশী করে ফ্যাট জমাতে থাকে। তাতে ব্রেনের কাজ করতে সমস্যা হয়। ব্রেন এবং রক্তের যে সম্পর্ক , তা প্রভাবিত হয় অনেকটাই।
অ্যাভোকাডো, বাদাম জাতীয় খাবার, ডিম, মাছ গুড ফ্যাটের উৎস। তবে রেড মিট, যে কোনও ডেয়ারি প্রোডাক্ট যে ফ্যাট দেয় আমাদের শরীরকে, তাতে কিন্তু ব্যাড ফ্যাটও থাকে। এগুলো আসলে ট্রান্স ফ্যাট। এই ফ্যাট মূলত হাইড্রোজেনেটেড অয়েলে অনেক বেশি থাকে। আর এই হাইড্রোজেনেট অয়েল দিয়েই কিন্তু আপনার কেক, চিপ্স, মার্জারিন তৈরী হয়। এই তেল যাঁর শরীরে যত বেশি গেছে, তাঁর ডিমেনশিয়া, অ্যালঝাইমার্সের প্রবণতা তত বেড়েছে। এই তেল ব্রেনের স্মৃতিশক্তি কমিয়ে দেয়। তাই এড়িয়ে চলুন এগুলো।
কার্বোহাইড্রেট সাধারণত আমাদের শরীরের জ্বালানী। আমরা এনার্জি পাই কার্বোহাইড্রেট থেকেই। কিন্তু রিফাইন্ড কার্ব খুবই ক্ষতিকর। যখনই কোনও কার্বোহাইড্রেট রিফাইন করা হয়, তখনই তার অনেকগুলো গুণ চলে যায়। চিনিও কার্বোহাইড্রেট। যে কোনও মিষ্টিই যখন খাচ্ছেন, তখন সেটাও আপনার জন্য কতটা ঠিক দেখে খেতে হবে। ময়দা স্বাদে মিষ্টি না হলেও সেটাও কিন্তু রিফাইন্ড কার্ব। তাই সাদা পাঁউরুটি, টর্টিলা ইত্যাদি এড়িয়ে চলাই ভালো। এতে থাকা মাত্রাতিরিক্ত গ্লাইসেমিক ব্লাড সুগারের উপর প্রভাব ফেলে। স্মৃতিশক্তি কমে যায়। যে সব শিশুরা কার্বোহাইড্রেট বেশী খায়, তারা দেরিতে কথা বলে বাকি বাচ্চাদের তুলনায়।