দাঙ্গায় সন্ত্রস্ত দিল্লি – ঘটনার সংক্ষিপ্ত সময়রেখা
৫০ ঘন্টার ওপর অতিক্রান্ত। দাঙ্গার আগুনে জ্বলছে উত্তর পূর্ব দিল্লি। চারিদিকে শুধু ভাঙা ঘরবাড়ি এবং পুড়িয়ে দেওয়া দোকান। শতাধিক গাড়ি পোড়ানো হয়েছে। ২০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন, ৪৮ জন পুলিশ কর্মী সহ। সর্বশেষ রিপোর্টে বলা হয়েছে যে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৩৪ জন নিহত হয়েছেন।
টাইমস অফ ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, জাফরাবাদ, বাবরপুর, ব্রহ্মপুরী, গোরখ পার্ক, মৌজপুর, ভজনপুরা, কবির নগর, চাঁদবাগ, গোকুলপুরী, কারাওয়াল নগর, খাজুরি খাস ও কর্দমপুরী থেকে অগ্নিসংযোগের বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।
একাধিক স্থানে মানুষের উপর অ্যাসিড জাতীয় পদার্থ এবং গরম জল ছুড়তে দেখা গেছে, যাদের মধ্যে পাঁচজনকে লোক নায়ক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
দ্য ওয়্যারের রিপোর্ট অনুযায়ী জাতীয় রাজধানীতে মসজিদ পোড়ানোর খবর পাওয়া গেছে। মোস্তফাবাদবাসীরা সাংবাদিকদের বলেন যে রড ও পিস্তল নিয়ে একাধিক পুরুষ ওই এলাকার মসজিদের বাইরে জড়ো হয়েছিল এবং তাদের উপর হামলা করে। এ সময় বেশ কয়েকটি শিশু মসজিদের ভিতরে ছিল এবং তাদেরও আক্রমণ করা হয়েছিল।
উত্তর পূর্ব দিল্লির অশোক নগর এলাকায়, ‘জয় শ্রী রাম’ এবং ‘হিন্দুন কা কা হিন্দুস্তান’ শ্লোগান দিয়ে একদল দুষ্কৃতী মসজিদের ওপর উপরে গেরুয়া পতাকা লাগিয়ে দেয়।
এদিকে, দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বাসভবনের বাইরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে একটি দল। তাদের দিল্লি পুলিশ ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
দিল্লি হাইকোর্টও মঙ্গলবার গভীর রাতে জাতীয় এই দাঙ্গা সংক্রান্ত আবেদনের শুনানি করেছে। আদালত দিল্লী পুলিশকে তীব্র ভর্ৎসনা করে। একাধিক নেতার বিদ্বেষমূলক বক্তব্য সম্পর্কে কোনও পদক্ষেপ নেয়নি পুলিশ, এই অভিযোগে কোর্টের রোষানলে পড়ে দিল্লি পুলিশ। তাদের অবিলম্বে পদক্ষেপ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
হিংসা ও দাঙ্গা বন্ধের লক্ষ্যে ক্ষতিগ্রস্ত সমস্ত অঞ্চলে কারফিউ জারি হয়েছে, মোতায়েন করা হয়েছে আধাসেনাও।