স্বাস্থ্য বিভাগে ফিরে যান

ফ্যাটি লিভার খুব ভোগাচ্ছে? কী ভাবে জব্দ করবেন

February 27, 2020 | 2 min read

ত্বক কিংবা চুলের সমস্যা হোক অথবা পেটের গোলমাল, সব কিছুর জন্যেই লিভারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো বাঙালির অভ্যাস। তবে এটা ঠিক যে জীবনযাত্রা বদলে যাওয়ার ফলে নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারের প্রবণতা আগের থেকে অনেকটাই বেড়েছে। অনেক সময় কিছু কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবেও লিভার ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তাই কোনও রকম সমস্যা হলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে লিভার এনজাইমের পরিমাণ জেনে নেওয়া উচিত।

কখন সতর্ক হওয়া উচিত?

অনেক সময় আমাদের অজান্তেই লিভারের কাজ করার ক্ষমতা কিছুটা ব্যহত হয়। কখনও কখনও বিলিরুবিন বেড়ে যায় আবার অনেক সময় উল্লেখযোগ্য কোনও উপসর্গই থাকে না। বিলিরুবিন বেড়ে গেলে অথবা বছরে এক বার নিয়ম করে চেক আপ করার সময় লিভার এনজাইম দেখে নিলে ভাল হয়।

উপসর্গ:

  • নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারের সব থেকে বড় লক্ষণ স্বাভাবিকের থেকে বেশি কোমরের মাপ বা মোদ্দা কথা ভুঁড়ি। ছোট থেকে বড়, সকলেরই ভুঁড়ি বাড়লে লিভারে মেদ জমে। এর ফলে লিভারের স্বাভাবিক কাজ কিছুটা ব্যহত হয়।
  • লিভারের কাজ কমে গেলে প্রথম অবস্থায় খাওয়ার ইচ্ছে কমে যায়, খাবারে অরুচি হয়,
  • দ্রুত ওজন কমে যেতে পারে
  • বমি বমি ভাব থাকে আর বমিও হতে পারে
  • খুব দুর্বল লাগে
  • কোনও কাজ করতে ইচ্ছে করে না।
  • এই সব উপসর্গের পাশাপাশি ক্রনিক মাথা ব্যথা, মন খারাপ ও ডিপ্রেশন, আচমকা কাঁপুনি-সহ নানা উপসর্গ দেখা দেয়। বিশেষ করে নখ বা চোখ হলদেটে লাগলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে লিভার ফাংশন টেস্ট করিয়ে নেওয়া দরকার।

হরমোন ও অন্যান্য ওষুধে সমস্যা

  • যাঁরা অপরিমিত মদ্যপান করেন তাঁদের লিভারের অসুখের ঝুঁকি বেশি।
  • টিবির ওষুধ, হরমোন ওষুধ, কিছু ব্যথার ওষুধ-সহ কয়েকটি অ্যান্টিবায়োটিকে লিভারের কর্মক্ষমতা কমে যেতে পারে।
  • দীর্ঘমেয়াদি কোনও ওষুধ খাওয়ার প্রয়োজন হলে লিভার এনজাইম পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া দরকার।
  • স্ত্রীরোগের কোনও সমস্যা হলে মাসাধিককাল হরমোনের ওষুধ খাওয়ার প্রয়োজন হলে লিভার ফাংশন টেস্ট করিয়ে নেওয়া দরকার।
  • ক্রনিক হেপাটাইটিস থাকলেও লিভারের এনজাইমের মাত্রা পরীক্ষা করা উচিত।
TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Fatty liver, #Health Tips, #Health & Fitness

আরো দেখুন