আপনার শরীরে প্রোটিন ঘাটতি বুঝবেন কিভাবে
শরীরের জন্য প্রোটিন প্রয়োজন। সঠিক পরিমাণে প্রোটিন আমাদের দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় থাকছে কি না, সে ব্যাপারে আমরা সতর্ক থাকি না। যদি কয়েকটি লক্ষণের দিকে নজর রাখি, তবে বোঝা যাবে আমাদের প্রোটিন খাওয়ায় ঘাটতি হচ্ছে কিনা।
হাড়ের সমস্যা: হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে গেলে শুধু ক্যালসিয়াম–এর পর্যাপ্ত ডোজ–ই যথেষ্ট নয়, হাড় শক্ত রাখার জন্য প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খুব জরুরি।
চুল–ত্বক–নখ বিপত্তি: প্রোটিনের ঘাটতি থেকে চুলের সমস্যা দেখা দেয়। চুল উঠতে থাকে ক্রমাগত। পাতলা হয়ে গিয়ে টাক পড়ার অবস্থা হয়। এর পাশাপাশি প্রোটিনের ঘাটতি আমাদের চামড়ার সমস্যা তৈরী করে। ত্বক শুকনো, খসখসে হয়ে যায়। র্যাশ বেরোয়। অনেক সময়ে চামড়া ফেটে যায়। এ ছাড়া নখের সমস্যাও প্রোটিন শরীরে কম ঢোকার আর একটি লক্ষণ। নখ একটু বিবর্ণ হয়, লম্বা লম্বা দাগের মতো হয় নখের উপরে। বিশেষ করে হাতের নখে।
ফুলে যাওয়া: প্রোটিন কম খাওয়া হলে শরীরের নানা জায়গা ফুলে যায়। একে ইডিমাও বলা হয় থাকে। যে অঙ্গগুলো বেশী ফোলে সেগুলি হল, হাত, পা, পায়ের পাতা, পেট। এর একটা সম্ভাব্য ব্যাখ্যা হল, রক্তের মধ্যে সংবহন হওয়া প্রোটিন, বিশেষত অ্যালবুমিন আমাদের টিস্যুতে তরল জমতে দেয় না। ফলে প্রোটিনের ঘাটতি হলেই এই জল জমার প্রবণতা বেড়ে যায়।
পেশী আর জয়েন্টে ব্যথা: প্রোটিন ঠিকমতো আপনার শরীরে না ঢুকলে পেশীর দুর্বলতা একটা সমস্যা হয়ে দেখা দেয়। ব্যথা হয়। যার শরীর পেশীবহুল ছিল, সেও একটু ফুলে যায়। আমাদের শরীরের জয়েন্টগুলোতে চিড়চিড়ে ব্যথা হয়।
খিদে ভাব: বারে বারে খিদে পাওয়ার অনেক কারণের মধ্যে একটি অবশ্যই প্রোটিনের অভাব। কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার তাৎক্ষণিক ভাবে পেট ভরিয়ে দিলেও আবার একটু পরে খিদে ভাব জাগায়। কিন্তু খাবারে প্রোটিন বেশী থাকলে সেই সমস্যা হয় না। প্রোটিন পেট কে ভরিয়ে রাখার ব্যাপারে অনেক বেশী কাজের।