হজমের সমস্যা নেই এমন মানুষ মনে হয় খুঁজে পাওয়া যাবে না। তার সঙ্গে যদি জুড়ে বসে গ্যাস-অম্বলের সমস্যা, তা হলে তো আর কথাই নেই। গ্যাস-অম্বল নিয়ন্ত্রণে থাকলেই হজম হবে সহজে।
বেশির ভাগ বদহজম, গ্যাস, অম্বলের সমস্যায় মানুষ মুড়িমুড়কির মতো প্যান্টোপ্রাজ়ল জাতীয় ওষুধ খান। এই ধরনের ওষুধ অ্যাসিডের ব্যালান্স নষ্ট করে দেয়। ফলে ভাল ব্যাকটিরিয়া নষ্ট হয়। হিতে বিপরীতও হয়।
তা ছাড়াও তিন বছর টানা পিপিআই গ্রুপের ওষুধ খেলে অস্টিয়োপোরোসিসের আশঙ্কা থাকে। হাড় ভঙ্গুর হয়ে যাওয়া, কিডনির সমস্যাও হতে পারে। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ না নিয়ে এই ধরনের ওষুধ খাওয়া উচিত নয়।
জীবনযাপনে পরিবর্তন এনেই গ্যাস-অম্বল থেকে মুক্তি সম্ভব:
প্রত্যেক দিন নির্দিষ্ট সময়ে খাবার খেতে পারেন। এতে শরীর তৈরি থাকবে খাবার হজমের জন্য।
খাবারের মধ্যে কিছু পরিমাণ প্রোটিন রাখতে পারেন। এতে অ্যাসিড কাজে লেগে যাবে। প্রোটিন মানেই কিন্তু মাংস নয়। দুধ, ডাল, ছানা ইত্যাদি খাবার রাখতে হবে রোজকার খাদ্যতালিকায়। ভাজাভুজি থেকে দূরে থাকুন।
খেতে বসার মিনিট দশেক আগে এক গ্লাস জল খেয়ে নিন। এতে অতিরিক্ত অ্যাসিড ওয়াশ আউট হয়ে যাবে। ফলে অ্যাসিডিটির সমস্যা থেকে রেহাই পেতে পারেন।
যাদের অ্যাসিডিটির ধাত আছে, তাদের অ্যান্টাসিড খেতে হবে। সকালের দিকেই সাধারণত অ্যান্টাসিড খেয়ে থাকেন বেশির ভাগ মানুষ। কিন্তু সেটা রাতে খেতে বসার আগে খেলেই বেশি কাজ হয়।
সকালের পরে যেহেতু মানুষ দাঁড়িয়ে, বসে থাকে বা হাঁটাচলা করে, ফলে অ্যাসিড রিফ্লাক্সের সম্ভাবনা কম থাকে। বরঙ রাতে শুয়ে পড়লে উপরের দিকে অ্যাসিড উঠে আসার সম্ভাবনা বেশি। তাই রাতে অ্যান্টাসিড খেলেই উপকার বেশি
গ্যাস উপশমের উপায়
প্রথমেই জেনে রাখতে হবে, বাঁধাকপি, ফুলকপি, পেঁয়াজ, রুটি, পালং শাক ইত্যাদি খাবারে গ্যাস বেশি হয়। এই ধরনের খাবার খেতে হলে দিনের প্রথমার্ধে খাওয়াই ভাল