মানুষের হাতে কাজ নেই, ফেব্রুয়ারিতে রেকর্ড বাড়ল বেকারের সংখ্যা
ইউরোপ, ফ্রান্সকে পিছনে ফেলে সম্প্রতি বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের তকমা পেয়েছে ভারত। এই ‘সাফল্যের’ ওপরে ভর করে এখন ভারতকে ৫ ট্রিলিয়ন বা ৫ লক্ষ মার্কিন ডলার অর্থনীতির দেশে পরিণত করার স্বপ্ন দেখাচ্ছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। ২০২৪ সালের মধ্যে এই লক্ষ্য পূরণের টার্গেট স্থির করেছে কেন্দ্র। এমন সময় সামনে এল ভারতীয় অর্থনীতির ‘অন্য ছবি’।
পরিসংখ্যান বলছে, দেশে বেকারত্বের হার ক্রমশ বাড়ছে। সদ্য শেষ হওয়া ফেব্রুয়ারি মাসে দেশের বেকারত্বের হার ছিল ৭.৭৮ শতাংশ। রবিবার এমনই জানিয়েছে সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমি (CMIE)৷ ক্রমবর্ধমান বেকারত্ব-কাঁটা দিল্লি হিংসার ফলশ্রুতিতে নানা প্রশ্নের মুখে জর্জরিত মোদী সরকারের অস্বস্তি আরও বাড়াবে বলেই মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের।
শেষবার ২০১৯ সালের অক্টোবর মাসে বেকারত্বের হার এক ধাক্কায় অনেকটা বেড়ে গিয়েছিল। সেটাই ছিল সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে রেকর্ড। চার মাস পুরনো সেই রেকর্ড ভেঙে গিয়েছে গত ফেব্রুয়ারিতে। ২০২০ সালের জানুয়ারিতে দেশে বেকারত্বের হার ছিল ৭.১৬ শতাংশ। দেশের অর্থনৈতিক শ্লথতা কর্মসংস্থানের ওপরে আঘাত হেনেছে।
২০১৯ সালের অক্টোবর থেকে এক গভীর সংকটের মধ্যে দিয়ে চলেছে ভারতীয় অর্থনীতি। আর্থিক বৃদ্ধির হার গত ছ’বছরের মধ্যে তলানিতে এসে ঠেকেছে। সম্প্রতি সেই পরিস্থিতির উন্নতির ক্ষীণ ‘সবুজ রেখা’ যখন দেখা যাচ্ছিল তখন এদেশের অর্থনৈতিক নীতি নির্ধারকদের সামনে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে হাজির হয়েছে করোনাভাইরাস। করোনা-গ্রাসে বিশ্ব অর্থনীতি বড় ধাক্কা খেতে চলেছে বলে ইতোমধ্যে সাবধান করে দিয়েছেন অর্থনীতির পণ্ডিতরা। তার আঁচ থেকে ভারত পার পাবে না বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ভারতের গ্রামাঞ্চলে চলতি বছরের জানুয়ারিতে বেকারত্বের হার ছিল ৫.৯৭ শতাংশ। এর ঠিক এক মাস পরে ফেব্রুয়ারিতে তা বেড়ে হয়েছে ৭.৩৭ শতাংশ। শহুরে ভারতে ফেব্রুয়ারিতে বেকারত্বের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯.৭০ শতাংশ। জানুয়ারিতে যা ছিল ৮.৬৫ শতাংশ। ২০১৭-১৮ আর্থিক বছরে ভারতের বেকারত্বের হার ছিল ৬.১ শতাংশ, যা বিগত ৪৫ বছরের মধ্যে রেকর্ড ছিল।