বিবিধ বিভাগে ফিরে যান

রাসায়নিক নয়, ভেষজ আবিরে মজে বাংলা

March 9, 2020 | 2 min read

রাসায়নিক নয়, এবারের দোলে ‘ব্র্যান্ডেড’ ভেষজ আবিরই সুপারহিট! ত্বকের ক্ষতির কথা ভেবে অনেকেই আর রাসায়নিক রং গায়ে লাগাতে চান না। এক দিনের আনন্দ যাতে অনেক দিনের আপশোস না হয়ে যায়, সেদিকে সজাগ বেশির ভাগ মানুষ। ফলে ক্রমশ বিক্রি বাড়ছে ভেষজ আবিরের। এর সুফল হিসেবে আয়ের বিকল্প পথ খুঁজে পেয়েছেন অনেকে। বিভিন্ন স্বনির্ভর গোষ্ঠী ও কন্যাশ্রী প্রকল্পের মেয়েদের তৈরি আবির প্যাকেটবন্দি হয়ে পৌঁছে যাচ্ছে বাজারে। মুখে হাসি ফুটছে তাঁদের।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রাক্তন কর্মী সীমা পণ্ডিত জানালেন, এ বছর ৭ কুইন্টাল ভেষজ আবির তৈরি হয়েছে তাঁদের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর উদ্যোগে। যার পুরোটাই ইতিমধ্যে বিক্রি হয়ে গেছে। গাঁদা, অপরাজিতা, গোলাপ ও পলাশ ফুল ব্যবহার করা হয়েছে আবির তৈরিতে। ভাল মানের সুগন্ধি ব্যবহার করা হয়েছে এই সব আবিরে। অত্যন্ত হালকা ও ট্যালকম পাউডারের মতো এই আবির সহজে উঠেও যায়। 

ইতিমধ্যেই যথেষ্ট জনপ্রিয় হয়েছে এই আবির। এবং দিন–‌দিন চাহিদা বাড়ছে। তাই লক্ষ্য আগামী বছর আরও বেশি উৎপাদনের। তিনি আরও জানান, হালকা সবুজ, হালকা কমলা, গোলাপি ও হলুদ রঙের এই সুগন্ধি আবিরের চাহিদা গত বছরও তুঙ্গে ছিল। এ বছর প্রতি ১০০ গ্রামের প্যাকেটের দাম ছিল ৩০ টাকা। 

পুরুলিয়ার বলরামপুরের স্বনির্ভর গোষ্ঠী পলাশকন্যা–‌র মহিলারাও তৈরি করেছেন ভেষজ আবির। বিভিন্ন ফুলের সঙ্গে অ্যারারুট মিশিয়ে তৈরি আবির ইতিমধ্যেই বেশ জনপ্রিয় হয়েছে। পলাশ ফুল থেকে গেরুয়া রং তৈরি হয়েছে। গোলাপ থেকে খয়েরি, গাঁদা থেকে হলুদ। রজনীগন্ধা ও নিমপাতার মিশেলে তৈরি হয়েছে সাদা আবির। অপরাজিতা আর হলুদ মিশিয়ে তৈরি হয়েছে সবুজ। এই কাজে প্রশাসনকে পাশে পেয়ে স্বনির্ভর হওয়ার সাধপূরণ হচ্ছে তাঁদের। নিজেদের পায়ে দাঁড়াতে আরও এগোতে চান তাঁরা।

কলকাতার বিক্রেতাদের দাবি, এবার রাসায়নিক রঙের চাহিদা প্রায় নেই বললেই চলে। অধিকাংশ ক্রেতাই ভেষজ আবির চাইছেন। বস্তায় খোলা আবির তেমন বিক্রি হচ্ছে না। যে–‌কারণে অনেক নামী–‌দামি সংস্থাও এ বছর ভেষজ আবির এনেছে বাজারে। 

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#holi, #Herbal Abir

আরো দেখুন