হরিদাসপুর – দেশের তৃতীয় ব্যস্ততম প্রবেশ পথ
হরিদাসপুর চেকপোস্ট বিগত দুবছর ধরে দেশের সব থেকে ব্যস্ত চেকপোস্টগুলির মধ্যে তিন নম্বরে বিরাজমান। এখানে যাত্রীদের দেশে আসা এবং যাওয়ার জন্যে মোট সাতটি কাউন্টার রয়েছে। এই কাউন্টারগুলি প্রতিদিন ৮০০০ যাত্রী পরিচালনা করে।
জানুয়ারীতে বিদেশি পর্যটক আসার নিরিখে সব থেকে এগিয়ে ছিল দিল্লী বিমান বন্দর। ২৮.০৩ শতাংশ বিদেশি পর্যটক শুধু এই বিমান বন্দর দিয়েই দেশে ঢুকেছেন। তারপরেই আছে মুম্বাই বিমানবন্দর, ১৭.৪৭ শতাংশ পর্যটক এসেছেন এই বিমানবন্দর দিয়ে।তারপরেই আছে হরিদাসপুর বর্ডার। ৭.৬৩ শতাংশ পর্যটক দেশে এই চেকপোস্ট দিয়ে ঢুকেছে।
২০১৭-১৮ সালে এই চেকপোস্ট দিয়ে ঢোকা মোট বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা প্রায় ২০ লাখ। ২০১৬-১৭ সালে যা ছিল ১৩ লাখ। আর সাত বছর আগে এই সংখ্যা ছিল মাত্র ৬৬ হাজার। এই সংখ্যা খুব শীঘ্রই ৪০ লাখে পৌছবে বলে ধারনা করছেন কর্মকর্তারা।
এই বর্ডারটি বাংলাদেশের খুব কাছাকাছি হওয়ায় খুব স্বাভাবিক ভাবেই এই প্রতিবেশি দেশ থেকেই আসা পর্যটকের সংখ্যা সর্বাধিক। যা প্রায় ১৬.৩৬ শতাংশ।
এক্ষেত্রে চিকিৎসার জন্যেই বাংলাদেশ থেকে পর্যটক আসে ৭০-৮০ শতাংশ। বিভিন্ন এজেন্টদের দেশের বিভিন্ন হাসপাতালের সাথে চ্যুক্তি থাকে। হাসপাতাল প্রয়োজনে বর্ডারে অ্যাম্বুলেন্স-ও পাঠায়। তাছাড়া বাকিরা আসেন নিয়মিত চিকিৎসায়। এদের মধ্যে বেশিরভাগ পর্যটকই ব্যাঙ্গালোর বা ভেলোরে বিশেষ চিকিৎসার কারনেই যান।
ইমিগ্রেশন কর্তাদের মতে রোজ প্রায় ৬০০-৭০০ মানুষ ব্যাবসার খাতিরে কলকাতায় আসে। তারা আবার ফিরে যায় সন্ধ্যে বেলা।