করোনায় কোয়ারান্টাইন – কি কি করণীয়
দেশজুড়ে উত্তরোত্তর বাড়ছে করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা। তবে বাংলায় এখনও নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণ (কোভিড-১৯) কারও শরীরে মেলেনি। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সন্দেহভাজন ব্যক্তি কিংবা রোগীকে একা ঘরবন্দি করে রাখা (কোয়ারান্টাইন) কিংবা আলাদা রেখে চিকিৎসা করার (আইসোলেশন) বিষয়গুলিতে সবচেয়ে বেশি জোর দিচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)।
সংক্রমণের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলাই বাঁচার সবচেয়ে ভালো উপায় বলে জানাচ্ছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। এ নিয়ে কেন্দ্রীয় নির্দেশিকা মেনে বিশেষ গাইডলাইন প্রকাশ করেছে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর। বলা হয়েছে মাস্ক ব্যবহারের বিধিও।
বিষয়গুলি দেখে নেওয়া যাক একঝলকে
কোয়ারান্টাইন কত দিনের
উপসর্গ বা সন্দেহ দেখা দেওয়া থেকে পরবর্তী ১৪ দিন। এর মধ্যে কোভিড-১৯ পজিটিভ এলে হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে স্থানান্তর
কোয়ারান্টাইন কী
সংক্রমণ থাকতে পারে সন্দেহে কাউকে ঘরবন্দি করে রেখে পর্যবেক্ষণে রাখা
আইসোলেশন কী
সংক্রমণ নিশ্চিত হলে তাঁকে অন্য রোগীদের থেকে আলাদা রেখে চিকিৎসা করা
কাদের জরুরি কোয়ারান্টাইন
জ্বর-সর্দি-কাশির উপসর্গ আছে, এমন ব্যক্তির যদি বিদেশ ভ্রমণ কিংবা সন্দেহভাজন করোনা-আক্রান্তের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সংস্পর্শের নজির থাকে
সংস্পর্শের অর্থ কী
যদি কেউ চিহ্নিত বা সন্দেহভাজন করোনা-আক্রান্তের সঙ্গে একই বাড়ি বা ভবনে থাকেন কিংবা সান্নিধ্যে আসেন (বিশেষত বদ্ধ পরিসরে) অথবা ১ মিটারের কম দূরত্বে সাক্ষাৎ করেন
ঘরবন্দি অবস্থায় কী করণীয়
বারংবার সাবান-জল কিংবা অ্যালকোহলযুক্ত হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার রাখা। বাসন, আসবাব, গামছা/তোয়ালে, বিছানা অন্যরা ব্যবহার করবে না। একবার ব্যবহারযোগ্য সার্জিক্যাল মাস্ক পরে থাকতে হবে সর্বক্ষণ।
৬-৮ ঘণ্টায় বদলাতে হবে মাস্ক। পরিবারের মাত্র একজনই ‘রোগী’র সঙ্গে যোগাযোগ রাখবেন সামনা-সামনি। যদি কোভিড-১৯ চিহ্নিত হয়, সে ক্ষেত্রে পরিবারের অন্যদেরও কোয়ারান্টাইনে থাকতে হবে
ঘরবন্দি থাকার নিয়ম
আলাদা ঘরে থাকতে হবে। ঘর যেন খোলামেলা, আলো-বাতাসযুক্ত হয়। ঘরে আলাদা শৌচাগার থাকলে ভালো। একান্তই কারও সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে হলে ন্যূনতম ১ মিটার দূরত্ব রাখা। বৃদ্ধ, শিশু, প্রসূতি ও অন্য অসুস্থ ব্যক্তির থেকে দূরে থাকা। কোনও সমাগমে যাওয়া নয়। বাড়ি থেকেও বেরোনো নয়