করোনা ত্রাসে শেয়ার বাজারে নজিরবিহীন ধস
ক্রমেই আতঙ্ক বাড়াচ্ছে করোনা। মারণ এই ভাইরাসের সংক্রমণকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মহামারী বলে ঘোষণা করতেই বিশ্ব জুড়ে তৈরি হয়েছে আর্থিক মন্দা। ভয়ঙ্করভাবে তার প্রভাব পড়ছএ ভারতেও। শেয়ার বাজারে ধস অব্যাহত। ১৩ই মার্চ বাজার খুলতেই ৩০০০ পয়েন্ট পড়ল সেনসেক্স। ৯০০-এরও বেশি পয়েন্ট পড়ল নিফটি। ধস রুখতে এক ঘণ্টার জন্য বন্ধ বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জ।
করোনা আতঙ্কে জেরবার বিশ্ব। এই আবহেই হু হু করে পড়ছে শেযারের দাম। বৃহস্পতিবারের পর শুক্রবারেও শেয়ার বাজারে নজিরবিহীন ধস অব্যাহত। লগ্নিকারীদের মনে এখন দুশ্চিন্তার কালো মেঘ। ইউরোপ থেকে আমেরিকায় ঢোকায় প্রবেশের উপরে মার্কিন প্রেসিডেন্টের নিষেধাজ্ঞায় সেই আতঙ্ক আরও বেড়েছে। বৃহস্পতিবার তাসের ঘরের মতো হুড়মুড়িয়ে পড়েছে সমস্ত শেয়ার সূচক। শেয়ার ধসের কবলে পড়েছে ভারতও।
বৃহস্পতিবারও বাজার খুলতেই ধাক্কা লাগে লগ্নিকারীদের। সেনসেক্স নেমে দাঁড়িয়েছিল ১৭০০ পয়েন্টে। পাশাপাশি ৫০০ পয়েন্ট নেমেছিল নিফটিও। একদিকে যেমন করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক, উল্টোদিকে ইয়েস ব্যাংকের সংকটের জেরে রীতিমতো ধাক্কা এবার শেয়ার বাজারে। বৃহস্পতিবারের মতো একই দশা শুক্রবারেও। শুধু শেয়ারবাজারে ধসই নয় করোনা নিয়ে আতঙ্কের জেরে পড়েছে টাকার দামও। ডলারের নিরিখে ১৬ পয়সা পড়ল টাকার দাম।
একদিকে যেমন করোনা ভাইরাস নিয়ে আতঙ্ক উল্টোদিকে তেমনই দেশএ ইয়েস ব্যাঙ্কের আর্থিক বিপর্যয়ও দেশের বাজারে শেয়ার পতনের অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ইয়েস ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তোলার ঊর্ধ্বসীমা বেঁধএ দিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক।
রিজার্ভ ব্যাংকের তরফে জানানো হয়েছে, ব্যাংকের আর্থিক অবস্থা বেশ খারাপ। গ্রাহকদের আস্থা ফেরাতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একদিকে করোনা ভাইরাস নিয়ে প্রবল আতঙ্ক এবং উল্টোদিকে দেশের বেসরকারি ওই ব্যাংকের আর্থিক সংকটের জেরেই শেয়ার বাজারে নজিরবিহীন ধস নেমেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।