বিবিধ বিভাগে ফিরে যান

মহামারি নিয়ে এই বইগুলি পড়েছেন?

March 16, 2020 | 3 min read

করোনা ভাইরাসকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মহামারি হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। সারা বিশ্বের বিজ্ঞানীরা এই মারণ ভাইরাসের প্রতিষেধক খুঁজতে হন্যে হয়ে যাচ্ছে। এরই মধ্যে তৈরি হয়েছে আতঙ্কের পরিবেশ। হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও মাস্ক নিয়ে হাহাকার চারিদিকে। 

শোনা যাচ্ছে, এক বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনির সঙ্গে নাকি করোনাভাইরাসের ঘটনা মিলে গেছে। আমেরিকার বেস্ট সেলার থ্রিলার লেখক ডিন কুন্স ১৯৮১ সালে একটি বই লেখেন। বইয়ের নাম ‘দ্য আইস অব ডার্কনেস’। তাঁর ভক্তরা বলছেন, তিনি এই করোনাভাইরাসের বিষয়টা সেই ৩৯ বছর আগেই হুবহু বইতে লিখেছেন। 

তাঁর বইয়ে একটি জীবাণু-অস্ত্রের কথা লেখা আছে, ‘উহান-৪০০’। চীনের উহান শহরের গবেষণাগারে এটা চীনারা তৈরি করেছে বলে তিনি লিখেছেন। তা নিয়ে আবার অনেক জল্পনাকল্পনা। লেখক কুন্স নিজে এ নিয়ে কিছুই দাবি করেননি।

অন্যান্য মহামারির মত একদিন কোভিড -১৯ শীঘ্রই হ্রাস পাবে। এই ভাইরাসের প্রকোপ কমার জন্য অপেক্ষা করাকালীন বই পড়লে কেমন হয়? এখানে এমন পাঁচটি বইয়ের তালিকা দেওয়া হল যার প্রেক্ষাপট কিছু মারাত্মক বিপর্যয় বা মহামারি এবং সেগুলি নির্মূল করার জন্য যে চেষ্টা করা হয়েছিল সেই আখ্যান। 

দেখে নিন বইয়ের তালিকা 

প্লেগ (অ্যালবার্ট ক্যামাস)

অপ্রত্যাশিত ভয়াবহতার মুখে মানবিকতার জয়। উত্তর আফ্রিকার উপকূলীয় একটি শহরকে তছনছ করে দেয় একটি বুবোনিক প্লেগ। সেটি নিয়ে ক্যামাসের এই উপন্যাসটি বিংশ শতাব্দীর সাহিত্যের একটি ক্লাসিক।

ইয়ার অফ দি ফ্লাড (মার্গারেট অ্যাটউড)

ম্যাডএডাম ট্রিলজির এই দ্বিতীয় বইয়ে, দীর্ঘ-শঙ্কিত নির্জলা বন্যা দেখা দিয়েছে। আমাদের চেনা পৃথিবীকে নষ্ট করে দিয়ে বেশিরভাগ মানবজীবনকে শেষ করে দেয় এই বন্যা। বেঁচে যাওয়া মানুষদের মধ্যে একজন হল রেন নামে এক যুবক, যে এক ট্র্যাপিজ নৃত্যশিল্পী এবং একটি  সেক্স ক্লাবে বন্দি। 

আরেকজন হল টবি, যিনি একটি বিলাসবহুল স্পার ভিতরে আটকা পড়েছেন। দুর্নীতিবাজ শাসক  এবং নতুন, পরিবর্তিত জিন-সম্পন্ন নতুন জীবের মধ্যে রেন এবং টবিকে তাদের পরবর্তী পদক্ষেপের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

দ্য স্ট্যান্ড (স্টিফেন কিং)

দ্য স্ট্যান্ড আমেরিকান লেখক স্টিফেন কিং-র একটি পোস্টপোক্যালিকটিক হরর / ফ্যান্টাসি উপন্যাস। বায়োলজিক্যাল ওয়ারের জন্য তৈরি ইনফ্লুয়েঞ্জার একটি বিশেষ স্ট্রেন হঠাৎ মুক্তি পেয়ে যায়, যার ফলে পৃথিবীতে মহামারি দেখা দেয়। এই নিয়েই গল্প। 

ওয়ার্ল্ড ওয়ার জেড (ম্যাক্স ব্রুকস)

এটিও একটি পোস্টপোক্যালিকটিক উপন্যাস। কিন্তু এখানে মূল চরিত্র জম্বি। জম্বি প্লেগের বিরুদ্ধে পৃথিবীজুড়ে যে প্রতিরোধ গড়ে ওঠে সেটিই এই উপন্যাসের প্রেক্ষাপট। এই প্লেগের ফলে বিশ্বে সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় এবং পরিবেশগত পরিবর্তন হয় সেটি উঠে আসে এই উপন্যাসে।

অ্যান্ড্রোমিডা স্ট্রেইন (মাইকেল ক্রিকটন)

অ্যান্ড্রোমিডা স্ট্রেইন একটি টেকনো-থ্রিলার উপন্যাস। অ্যারিজোনায় একটি মারাত্মক বহির্মুখী অণুজীবের প্রাদুর্ভাব তদন্তকারী বিজ্ঞানীদের একটি দলের প্রয়াসকে নথিভুক্ত করে এই বইটি। রুদ্ধশ্বাস, টানটান এই বইটি ছেড়ে উঠতে ইচ্ছে করবে না। 

আউটব্রেক (রবিন কুক)

রবিন কুক রচিত অন্যতম সেরা মেডিক্যাল থ্রিলার আউটব্রেক। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মারাত্মক ইবোলা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব এই উপন্যাসের প্রেক্ষাপট। ভাইরাস ছাড়াও এই লেখকের অন্যান্য বইগুলিও মেডিক্যাল থ্রিলার জঁরের মধ্যে পড়ে। 

ইনফার্নো (ড্যান ব্রাউন)

আমেরিকান লেখক ড্যান ব্রাউ রচিত একটি রহস্য রোমাঞ্চ উপন্যাস ইনফার্নো। রবার্ট ল্যাংডন সিরিজের চতুর্থ বই এটি। পৃথিবীতে ঘনিয়ে আসছে মহামারির আতঙ্ক। এবং এই দুর্ঘটনা থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় দান্তের ইনফার্নো। কিভাবে বিভিন্ন প্রতীক ও কোডের সমাধান করে বিশ্বকে ধ্বংস হওয়া থেকে বাঁচাবেন ল্যাংডন সেটিই গল্প।

কলকাতা ক্রোমোসোম (অমিতাভ ঘোষ)

অমিতাভ ঘোষের ১৯৯৫ সালের ইংরেজি ভাষায় এই উপন্যাস লেখেন। ১৯৯০-এর দশকের কলকাতা এবং নিউ ইয়র্কে এই উপন্যাসের প্রেক্ষাপট। 

 বইটি আদ্যোপান্ত একটি মেডিকেল থ্রিলার। স্যার রোনাল্ড রসের জীবনের ওপর আধারিত এই বইটি বিশ্বজুড়ে সমাদৃত হয়েছে। 

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#CoronaAlert, #books on epidemic disease, #uhan 400, #Coronavirus

আরো দেখুন