বিনোদন বিভাগে ফিরে যান

ভাইরাস ও মহামারি নিয়ে এই সিনেমাগুলি দেখেছেন?

March 17, 2020 | 2 min read

মারণ করোনা ভাইরাস এখন সারা বিশ্বে ত্রাসের সৃষ্টি করেছে। সাধারণ মানুষকে দৈনন্দিন জীবনের ধারা বদলাতে বাধ্য করেছে এই ভাইরাস।

মারণ ভাইরাস নিয়ে বহু বছর ধরে তৈরী হয়েছে একগুচ্ছ চলচ্চিত্র। এর মধ্যে আপনি কোন কোন ছবি দেখেছেন?

১. আউটব্রেক (১৯৯৫)

এই সিনেমায় ইবোলার মত ভাইরাস (সিনেমাতে নাম মোতাবা) অপ্রত্যাশিতভাবে আমেরিকার সেডার ক্রিক শহরে ছড়ায় এবং মানুষকে আতঙ্কিত করে। জনপ্রিয়তার নিরিখে নেটফ্লিক্সে এই ছবির স্থান নয় নম্বরে।

২. টুয়েলভ মাঙ্কিস (১৯৯৫)

মারণ ভাইরাসের ত্রাসে যখন সারা দুনিয়া বেহাল, তখন ব্রুস উইলিসকে অতীতে ফেরত পাঠানো হয় সেই ব্যক্তিকে আটকাতে যিনি প্রথম এই ভাইরাসটি ছেড়েছিলেন। ইউটিউবে দেখতে পারবেন এই ছবিটি।

৩. টোয়েন্টি এইট ডেস লেটার (২০০২)

একটি সংক্রামক ভাইরাস মানুষকে হিংসাত্মক জম্বিতে পরিণত করছিল এবং সমাজকে ধ্বংস হওয়ার মুখে নিয়ে যাচ্ছিল। কি করে বাঁচবে মানব সমাজ, তা নিয়েই ছবি। হুলুতে পাওয়া যাবে এই সিনেমা।

৪. কেবিন ফিভার (২০০২)

একটি প্রত্যন্ত কেবিনে বসন্তে ছুটি কাটানোর সময় একদল কলেজ পড়ুয়া ভাইরাসে আক্রান্ত হয় এবং দেখা দেয় মারাত্মক একপ্রকার চর্মরোগ। ইউটিউবে দেখা যাবে এই সিনেমা। 

৫. চিলড্রেন অফ মেন (২০০৬)

এটি সেই অর্থে ভাইরাস নিয়ে সিনেমা নয়। এই সিনেমাতে একটি পরিস্থিতি দেখানো হয়েছে যেখানে মানুষ আর প্রজনন করতে পারছে না। এই ঘটনা ত্রাসের সৃষ্টি করে। এই ছবিটিও মিলবে ইউটিউবে।

৬. আই অ্যাম লেজেন্ড (২০০৭)

সমনামী একটি উপন্যাস অবলম্বনে তৈরী আমেরিকান পোস্ট-অ্যাপোক্যালিপটিক অ্যাকশন থ্রিলার ছবি এটি। নিউ ইয়র্কে একটি মারণ প্লেগের পর একমাত্র রবার্ট নেভিল নামে একজন বিজ্ঞানী বেঁচে থাকেন। তিনি নিজের ইমিউন রক্ত ব্যবহার করে মারণ ভাইরাসের প্রভাবগুলিকে খন্ডন করার চেষ্টা করেন। এই ছবিটি পাওয়া যাবে ইউটিউবে। 

৭. রেপো! দি জেনেটিক অপেরা (২০০৮)

এটি একটি মিউজিক্যাল হরর ছবি। একবিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে, অঙ্গহানির মহামারীর কারণে উত্থান হয় জিনকো নামে একটি সংস্থার যারা অঙ্গ প্রতিস্থাপন করে। কেউ যদি অঙ্গ প্রতিস্থাপনের জন্য দরকারি অর্থ প্রদান করতে না পারে, তারা জিনকোর টার্গেটে পরিণত হন। এই পরিস্থিতে আলেক্সা ভেগা তার বিরল রোগের নিরাময়ের পাশাপাশি তার পরিবারের রহস্যময় ইতিহাস সম্পর্কে তথ্য অনুসন্ধান করে।

৮. ব্লাইন্ডনেস (২০০৯)

জুলিয়ান মুর এই সিনেমাতে অভিনয় করেন যেখানে অন্ধত্ব মহামারির আকার নিচ্ছিল। এই সিনেমাটি জোস সারামাগোর লেখা একই নামের গল্পের ওপর আধারিত। এটি দেখা যাবে ইউটিউবে। 

৯. কন্টাজিওন (২০১১)

বেথ এমহফ এবং তার ছেলের মৃত্যুর ফলে একটি মারাত্মক ভাইরাস আবিষ্কার হয়। একদিকে যখন ইউএস সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এর বিস্তার রোধ করতে লড়াই করছে, এই ভাইরাসের কারণে বিশ্বব্যাপী আতঙ্ক দেখা দেয়। ছবিটি পাওয়া যাবে অ্যামাজোনে।

১০. ইট কামস অ্যাট নাইট (২০১৭)

একটি পরিবার মারণ ভাইরাস থেকে বাঁচতে আশ্রয় নেয় একটি খামারে। আরেকটি পরিবার যখন তাঁদের দরজায় আসে সাহায্য চাইতে, তারা বুঝতে পারে না, এদের বিশ্বাস করা উচিত কিনা। এরপর একটি হিংসাত্বক ঘটনা ঘটে যা ভাইরাসের আতঙ্ককে ম্লান করে দেয়। ছবিটি দেখা যাবে নেটফ্লিক্সে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#28 Days Later, #Cabin Fever, #Children of Men, #Outbreak, #12 mONKEYS

আরো দেখুন