করোনাভাইরাস: মাস্ক ব্যবহারের সঠিক নিয়ম জানুন
নির্দিষ্ট কিছু মাস্ক ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। মাস্ক কেনার আগে যা যা মাথায় রাখবেন। দেখে নিন এক নজরে।
১.সার্জিক্যাল মাস্ক ব্যবহার করা সবচেয়ে ভালো, যা একবারমাত্র ব্যবহার করতে হয়। এগুলোতে অনেকগুলো লেয়ার থাকে। তবে বাজারে এক লেয়ারের মাস্কও পাওয়া যায়, সেগুলো ব্যবহার করা ঠিক নয়।
২. সার্জিক্যাল মাস্কের দুটি দিক থাকে। সামনের দিকটা একটু হালকা নীল রঙের এবং পেছনের দিকটা সাদা রঙের। সাদা অংশটা ফিল্টার, যা ভেদ করে জীবাণু ঢুকতে পারে না। যাঁরা সুস্থ আছেন এবং ভাইরাস বা জীবাণু প্রতিরোধ করতে চান, তাঁরা সাদা অংশটি বাইরে রেখেই মাস্ক ব্যবহার করবেন। কেননা সাদা অংশ দিয়ে ফিল্টার করেই বাতাস ভেতরে ফুসফুসে ঢুকবে। নীল অংশটি মুখের ভেতরে থাকবে। অথচ বেশির ভাগ মানুষই সাদা অংশটি মুখের ভেতরে রাখেন।
৩.তবে কেউ যখন ঠাণ্ডা, জ্বর, হাঁচি, কাশি বা অন্য কোনো রোগে আক্রান্ত, তখন নীল অংশটি বাইরে রেখে মাস্ক ব্যবহার করবেন। এতে তাঁর মুখ থেকে ক্ষতিকর কিছু বাইরে যেতে বাধা পাবে এবং অন্য কেউ সহজে আক্রান্ত হবে না।
৪.অনেকে মাস্ক পরার সময় নাক খোলা রেখে শুধু মুখ ঢেকে রাখে। এটা কিন্তু ঠিক নয়, ভারতে এখনও পর্যন্ত শতাধিক মানুষ নোভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। দেশজুড়ে এই ভাইরাস সংক্রমণকে ‘বিপর্যয়’ ঘোষণা করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই আতঙ্কে মানুষ মাস্ক এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার কিনছেন; এমনই অবস্থা যে দোকানে আকাল দেখা দিয়েছে এইগুলির। । বরং ওপরের মেটাল অংশটাকে নাকের সঙ্গে চেপে ও নিচের অংশটাকে থুতনির নিচে নিয়ে উভয়ই ঢেকে রাখতে হবে।
৫.অনেকে মাস্ক থুতনি পর্যন্ত খুলে রেখে কথাবার্তা বলেন। এটাও ঠিক নয়। এতে লেগে থাকা জীবাণু সহজেই দেহে ছড়িয়ে পড়ে।
৬.একই মাস্ক ঘরে রেখে দিয়ে দীর্ঘদিন ব্যবহার করা উচিত নয়। নিয়ম হলো, একটি মাস্ক সর্বোচ্চ এক দিন ব্যবহার করে সেটাকে ধ্বংস করে দিতে হবে।