বিতর্ক উস্কে রাষ্ট্রপতির মনোনয়নে রাজ্যসভায় রঞ্জন গগৈ
রাজ্যসভার সদস্য় মনোনীত হলেন দেশের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ। সংসদের উচ্চ কক্ষের সদস্য হিসেবে তাঁর নাম মনোনীত করেছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ।
গত ১৬ই মার্চ কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে এই সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। এদিকে, প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি গগৈয়ের এই মনোনয়ন ঘিরে বিতর্ক দেখা দিয়েছে।
- ২০০১ সালে গুয়াহাটি হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে জুডিশিয়াল সার্ভিসে রঞ্জন গগৈয়ের কর্মজীবন শুরু।
- ২০১০ সালে তিনি পঞ্জাব এবং হরিয়ানায় বদলি হন।
- ২০১২ সালের ২৩ এপ্রিল তাঁকে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি পদে উন্নিত করা হয়।
- ২০১৮ সালের ৩ অক্টোবর দেশের ৪৬তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন তিনি।
দেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে তাঁর কার্যকালে কয়েকটি সংবেদনশীল মামালায় রায় দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল অযোধ্যা রামমন্দির মামলার রায়। এই সাংবিধানিক বেঞ্চের মাথায় ছিলেন বিচারপতি গগৈ। বিচারপতি লোয়া এবং সিবিআই মামলাতেও বিজেপির পক্ষে রায় দেওয়ার অভিযোগ ওনার বিরুদ্ধে।
এছাড়াও, তিনি যখন প্রধান বিচারপতি ছিলেন, ওনার বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছিল। অবশ্য, তিনি নিজে সেই অভিযোগের নিষ্পত্তির কমিটিতে নেতৃত্ব দেন এবং নিজের বিরুদ্ধে সব অভিযোগ খণ্ডন করে দেন। এছাড়াও, অসমে বিতর্কিত নাগরিক পঞ্জি প্রক্রিয়ার নেপথ্যেও ওনার ভূমিকা ছিল।
এদিকে অনেকে আবার এই প্রঙ্গে প্রয়াত বিজেপি নেতা অরুণ জেটলির একটি উক্তি স্মরণ করাচ্ছেন। উনি বলেছিলেন, “অবসর গ্রহণের পূর্বের রায়গুলি অবসর গ্রহণের পরে পদের আশার দ্বারা প্রভাবিত হয়। অবসর গ্রহণের পরের পদের এই আকাঙ্খা দেশের বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতাকে প্রভাবিত করছে এবং সময় এসেছে যে এর অবসান হওয়া উচিত..”
সময়ই বলবে রঞ্জন গগৈয়ের ক্ষেত্রে এই উক্তি কতটা প্রযোজ্য।