নির্ভয়ার পর আট বছর – আজ কতটা সুরক্ষিত ভারতের নারী?
ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যূরো-র ২০১৮-র বার্ষিক রিপোর্ট অনুযায়ী প্রতি ১৫ মিনিট অন্তর একটা করে ধর্ষণের অভিযোগ দাখিল হয়। শুধু এই সংখ্যাকেই ধরা হলে ভারত মহিলাদের জন্যে পৃথিবীর সব থেকে অসুরক্ষিত দেশগুলির মধ্যে প্রথম সারীতে রয়েছে।
শুধু ২০১৮ সালেই প্রায় ৩৪ হাজার ধর্ষণের অভিযোগ এসেছে। কিন্তু এই সংখ্যাই কি শেষ কথা? ভারতের মতো পুরুষ তান্ত্রিক দেশে কজন মহিলা সুযোগ পান থানায় এসে অভিযোগ করার? তার আগেই হয় তাকে মেরে ফেলা হয় বা ভয় দেখিয়ে মুখ বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এদের মধ্যে সবচেয়ে অসুরক্ষিত রাজ্য দিল্লী এবং উত্তর প্রদেশ। অনেকাংশেই সুরক্ষিত পশ্চিমবঙ্গ। কলকাতাকে দেশের মধ্যে মহিলাদের জন্যে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে সবচেয়ে সুরক্ষিত শহর ঘোষণা করা হয়েছে।
কিন্তু গোটা দেশ? কতটা সুরক্ষিত দেশে নারীরা? নিরভয়ার মতো কয়েকটা ঘটনাই আমরা জানতে পারি। বাকিগুলো চাপা পড়ে যায় ফাইলের নীচে।
সব থেকে বেশি মহিলারা ধর্ষিত হয় নিজের পরিবারে। সাত বছর আগের জাস্টিস ভারমা কমিটির সুপারিস অনুযায়ী বৈবাহিক ধর্ষণও সাজার উপযুক্ত। সত্যিই কি এই রিপোর্টের সুপারিশ বাস্তবায়িত হয়েছে? রোজ নিজের পরিবারে ধর্ষিত হচ্ছে মহিলারা, শিশুরা। কখনো বিয়ের নামে, কখনো আত্মীয়ের দ্বারা। বৈবাহিক ধর্ষণের কটা কেস সামনে এসেছে এই বিগত সাত বছরে? এলে কি ই বা হয়েছে তার সাজা? বৈবাহিক ধর্ষণ আজও কি কোন অপরাধ নয়?
সত্যিই কি মেয়েরা আজও সুরক্ষিত রাস্তায়, ট্রেনে, বাসে এমনকী নিজের বাড়িতে?