নতুন প্রকাশনার হাত ধরে সুযোগ পাচ্ছে নতুন কবিরা
প্রতিবছর এই বাংলায় সৃজনশীল বইয়ের সিংহভাগ প্রকাশিত হয় কলকাতা আন্তর্জাতিক পুস্তক মেলা থেকেই। জনপ্রিয় এবং পুরনো লেখকদের পাশাপাশি নতুন লেখকরাও প্রথাগতভাবে বইমেলাতেই তাদের বইটি প্রকাশ করেন।
এক সময় জয় গোস্বামী চেষ্টা করেছিলেন নিজের অর্থে তরুণদের বই প্রকাশ করতে, প্রায় ১৫-১৬ জন তরুণদের বই প্রকাশও হয়েছে। কিন্তু পরিচিত লেখকদের পাশাপাশি অপেক্ষাকৃত নতুন লেখকেরা কতটা উঠে আসতে পারছেন? নতুন প্রকাশনার হাত ধরেই সুযোগ পাচ্ছে নতুন কবিরা। কিন্তু বড় প্রকাশনা সংস্থার দাপটে হালে পানি পাচ্ছেন তারা?
সপ্তর্ষি প্রকাশন সংস্থার কর্ণধার সৌরভ মুখোপাধ্যায় বলেন, একটা পাবলিকেশন, যাদের বাংলার প্রধান পাবলিকেশন হিসেবে ধরা হয়, তারা হয়তো বছরে ২০টা কবিতার বই বার করলে দেখা যেত চারটে কি পাঁচটা কবিতার বই নতুন কবিদের। বাদ বাকি ১৫টা প্রতিষ্ঠিত কবিদের কবিতার বই। সংযত কারণেই করতেন। সেই পরিস্থিতিতে সপ্তর্ষি প্রথম পরিবর্তন করে। একেবারে তরুণদের, নাম না জানাদের, পত্র পত্রিকায় লিখছে, তাদের জন্য।
সৌরভ বলেন, আমাদের সময় আমরা যখন তরুণদের পাশে দাঁড়ানো শুরু করেছিলাম, তখন প্রায় কোনও প্রকাশনা ছিলনা যারা নতুনদের কবিতার বই ছাপে। ২০১০ সালে ‘তরুণ কবির স্পর্ধা’ সিরিজটা শুরু করার পর থেকে, এই দশ বছরে খুব কম করে আমরা ১০০ জন কবির বই প্রকাশ করেছি। সেই সময় হাতে গোনা এক-দু’টি প্রকাশন ছাড়া প্রায় কেউ কবিতার বইও করতেন না, এবং যাও বা করতেন, তরুণদের কবিতার বই প্রায় করতেনই না।
২০২০তে পরিস্থিতি অনেকটাই আশাব্যাঞ্জক, বলছেন সৌরভ। তাঁর কারণ, নতুন প্রকাশনা সংস্থা যেমন এসেছে, তেমনই তরুণদের কবিতা প্রকাশ করার একটা জোয়ারও এসছে। একটু ভালো কবিতা লিখলেই প্রকাশক এগিয়ে এসে তাঁর বই করেন। অন্তত পাঁচ ছটা প্রকাশন আছে যারা তরুণরা ভালো লিখছে কিনা খোঁজ রাখেন ও নিজেদের পয়সাতে বই করেন। এইসব কাজগুলো তো হচ্ছে, এগুলো আশাব্যঞ্জক।
(তথ্যসূত্র: দেবর্ষি বন্দ্যোপাধ্যায়)